বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চক্ষু পরীক্ষা করিয়ে কাকে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

0
326

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- নাম না করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চক্ষু পরীক্ষা করিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বার্তা’ দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। মঙ্গলবার ঐ মেডিক্যাল কলেজের লোকপুর ক্যাম্পাসের চক্ষু বিভাগে এসে চক্ষু পরীক্ষা করান তিনি।

পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, আমি এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এখানকার চিকিৎসকদের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। এরাজ্যের চিকিৎসকরা যথেষ্ট ভালো। তাই দক্ষিণ ভারত বা বিদেশে যাওয়ার কোন দরকার নেই। ‘সামর্থ্যবানদের উচিৎ নিজের এলাকায়, নিজের রাজ্যে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া উচিৎ।’ আর তারপরেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ যখন মস্কো সফরে রয়েছেন, ঠিক তখন সেখানে তাঁর অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ে। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ওখানেই তাঁর অপারেশানের ব্যবস্থা করার কথা বললেও তিনি তা না করে সরাসরি বিমানে এখানে ফিরে আসেন ও অপারেশন করা হয়। একজন দেশপ্রেমিকের এটাই কর্তব্য। এরপরেই সাংবাদিকরা অভিষেক প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে একটাও কথা বলবোনা’। অন্য দেশ থেকে প্রতিবছর ৪৯ হাজার ছাত্র এখানে পড়তে আসে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ডি.এল.এডের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ও ‘অন্তর্ঘাতে’র দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নিজের ‘ম্যাকানিজম্’ যদি ঠিক না থাকে কে অন্তর্ঘাত করবে? প্রশাসন থেকে বিভাগ সব ওনাদের হাতে। প্রশাসন চালাতে পারছেননা আর দূর্ণীতি ঢাকতেই এসব কথা বলছেন। শিক্ষা রাজ্যের বিষয় হলেও এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক চিঠি লিখে বিষয়টি জানতে চাইবেন বলে তিনি জানান।

পঞ্চায়েত ভোটে ‘রাম-বাম জোট’প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওঁদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বামেরা এরাজ্যে ‘ভয়ঙ্কর ক্ষতি’ করে গেছে। আর তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ‘এই সরকারের পতন হবে’ বলেও তিনি দাবি করেন।

রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরাজ্যে সর্বত্র বোমার কারখানা। শাসক দল বোমা তৈরীর পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।