নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার অন্তর্গত লাউগ্রামের সন্তু চন্দ্র কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান এ থাকতেন সেখানেই আলাপ হয় শর্মিলা রায় নামে এক মহিলার সাথে,পরে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তারা।শর্মিলা রায় নামে ওই মহিলার অভিযোগ সন্তু সব জেনেই অর্থাৎ তিনি যে এক সন্তানের মা জেনেই সম্পর্কে আবদ্ধ হয় সে।এমনকি মাথায় সিঁদুর দান করে গোপনে বিবাহ হয় তাদের।তবে সন্তু চন্দ্র নামে সেই যুবক তার এই বিবাহের কথা বা সম্পর্কের কথা ঘুণাক্ষরেও জানায়নি তার পরিবারকে।দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল তাঁদের,একাধিকবার তার বাড়িতে বউয়ের মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি জানায় শর্মিলা। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেই এড়িয়ে যেত সন্তু।অবশেষে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে শর্মিলা সরাসরি চলে আসে সন্তুর কোতুলপুর এর বাড়িতে,সেখানে গিয়ে তার মা-বাবাকে তাদের সম্পর্কের কথা জানালে সন্তুর মা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে।
শেষমেষ যোগ্য মর্যাদা নিয়ে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য কোতুলপুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি।লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয় তার তরফ থেকে। এখন পুলিশই নাকি শেষ ভরসা তার স্বামীকে ফিরে যাওয়ার জন্য এমনটাই জানালেন শর্মিলা। এ যেন এক আজব প্রেমের উপাখ্যানের সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর।