পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:– রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মেগা শো’-র বিরুদ্ধে এ বার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। আবেদনকারী শুভেন্দু স্বয়ং। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করতে বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে সভা করছে তৃণমূল।এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু।
আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) তাঁর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জে’র ১০০ মিটারের মধ্যে শাসকদলের কর্মসূচি রয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় থানা এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। শুভেন্দুকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোতেই আবেদনের শুনানি হবে।শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক কাঁথিতে এই নিয়ে তৃতীয় বার সভা করবেন অভিষেক। এই বার যেখানে সভা হবে, সেই কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ ময়দান থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ কার্যত ঢিলছোড়া দূরত্বে। গত দু’বারই ‘অধিকারী পাড়ায়’ দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তার প্রত্যুত্তরে ঝাঁঝালো জবাব এসেছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের তরফেও। যদিও এই বার গোড়ায় দেখা গিয়েছিল সৌজন্যের আবহ। গত সপ্তাহে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার ‘সৌজন্য সাক্ষাতের’ পরে অভিষেককে ‘শান্তিকুঞ্জে’ চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু এখনও ‘খাতায়কলমে’ তৃণমূলেরই সদস্য।অভিষেকের সভাস্থল নিয়ে গোড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের অন্দরে টানাপড়েন ছিল। প্রথমে সভাস্থল হিসেবে কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে খুঁটিপুজো করেছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক প্রমুখেরা। এর পর মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অখিল গিরি বা তাঁর ছেলে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিকে দেখা যায়নি। এর পর ২৩ নভেম্বর নতুন করে সভাস্থল হিসেবে খুঁটিপুজোর আয়োজন করা হয় কাঁথির কলেজ মাঠে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সুপ্রকাশ-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কাঁথির কলেজ মাঠের ওই সভাস্থলের অদূরেই অধিকারী পরিবারের বাড়ি।