এবার থেকে চার হাত এক হবে তিস্তা উদ্যানে!

0
325

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- এবার থেকে চার হাত এক হবে তিস্তা উদ্যানে! অবাক হচ্ছেন? বনদপ্তরের ভাবনা এমনটাই। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের প্রথম দিক থেকেই নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে বিয়ে,জন্মদিন সহ সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে তিস্তা উদ্যান সহ উত্তরবঙ্গের চার উদ্যানে। তবে অনুষ্ঠান হতে হবে পরিবেশবান্ধব। শর্ত এটাই। রবিবাসরীয় বিকেলে তিস্তা উদ্যানে শিশুদের দুটি ব্যাটারিচালিত গাড়ির শুভসূচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে এসে তিস্তা উদ্যান ঘিরে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানালেন উদ্যান ও কানন শাখার বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ।
জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যান,মাল উদ্যান কোচবিহারের এন.এন উদ্যান,বালুরঘাটের বালুরঘাট উদ্যানে ডেস্টেনেশন ম্যারেজ প্রকল্প চালুর সবুজ সংকেত দিয়েছে বনদপ্তর। এরফলে একদিকে উদ্যানগুলোর আয় বাড়বে অন্যদিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে এই উদ্যানগুলো। এমনটাই অভিমত বিভাগীয় বনাধিকারিকের।
এদিন বিকেলে শিশুদের নতুন ব্যাটারিচালিত গাড়িতে চড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়। সবুজ ফ্ল্যাগ নেড়ে গাড়িগুলির যাত্রার সূচনা করেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও অঞ্জন গুহ। জানা গিয়েছে,আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে বিনামূল্যে এই গাড়িতে সওয়ার হয়ে গোটা উদ্যান ঘুরতে পারবে শিশুরা।অঞ্জনবাবু বলেন, “৩ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুরা এই গাড়িগুলোতে চড়তে পারবে। আপাতত প্রতি শনি ও রবিবার এই পরিষেবা চালু থাকবে।উদ্যানের ভেতরের কংক্রিটের পথে বাচ্চাদের নিয়ে ছুটবে এই দুই ব্যাটারিচালিত গাড়ি। পুরসভার চেয়ারপার্সন বলেন,” বনদপ্তরের এধরণের উদ্যোগের ফলে শিশুরা এখানে এসে বৈচিত্র্যের স্বাদ পাবে।” ভাইস চেয়ারম্যান বলেন,” তিস্তা উদ্যানে শিশুদের ঢল নামবে।” অপরদিকে সামাজিক কাজে তিস্তা উদ্যানের ব্যবহার নিয়ে এদিন চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরে নেন উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও। অঞ্জনবাবু বলেন, “জেলা শাসক ও পুর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেই এই প্রোজেক্ট কার্যকর করা হবে। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট তারিখের সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা,সম্মেলনের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা ধার্য করার পরিকল্পনা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন,” অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে আয়োজকদের।মাইক ও ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকছে।লেসার লাইট ও প্ল্যাস্টিকের ব্যবহারও নিষিদ্ধ। উদ্যানের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হবে আয়োজকদের।”
এধরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আয় বহুগুণ বাড়বে তিস্তা উদ্যানের। স্বাগত জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যান।