সংকটের মুখে পাখিরালয় ছাড়িগঙ্গা।

0
533

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখিরা এসে ভিড় জমিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর “চুপি-কাষ্ঠশালির ছাড়িগঙ্গায়”। বিভিন্ন দেশের রঙিন পাখির দল । তাদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু পাখি প্রেমী মানুষ। দামী ক্যামেরায়, পাখিদের ছবি তুলতেই ব্যস্ত তারা। নৌকায় চেপে ঘুরে ঘুরে মহা আনন্দে ছবি তুলছেন বিভিন্ন রকম পাখির । কচুরিপানার মধ্য দিয়ে নৌকায় চেপে যাচ্ছেন পর্যটকরা। এ যেন এক অ্যাডভেঞ্চারেস ব্যাপার।
যদিও এই খবরের আর নতুনত্বের কিছু নয় বহুদিন ধরেই পর্যটকরা আসেন এখানে। শীত মরসুম পড়তে না পড়তেই পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায় ছাড়িগঙ্গার জলে। আর এই পাখিদের নিয়ে অর্থ লাভের আশায় বুক বেঁধে আছেন এলাকার বহু মানুষ।
তবে, এবার এই ছাড়িগঙ্গাই এমশঃ অবলুপ্তির পথে । আগামী বছর তিন চারের মধ্যে এর জল শুকিয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। তাহলে পরিয়ায়ী পাখিদেরও আশা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বহুদিন আগে গঙ্গার গতি পথ ঘুরে যাবার কারনে ছাড়িগঙ্গার জন্ম হয়। তবে গঙ্গার সঙ্গে সংযোগ ছিল ছাড়িগঙ্গার। পরিমানে কম হলেও স্রোতের অল্প জল ঢুকতো। বছর ছয়েক ধরে কাষ্ঠশালী, রাজারচরের দিক থেকে গঙ্গার জল ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ। শুধুমাত্র প্রচীন মায়াপুরের একটা দিক থেকে ছাড়িগঙ্গায় জল ঢুকছে। সেটাও বর্তমানে বন্ধের মুখে। ১৫ ফুটের খোলা মুখ দিয়ে গঙ্গার জল ঢুকছে। সেখানেও জলের গভীরতা ফুট চারেকে এসে দাঁড়িয়েছে।স্থানীয় নৌকার মাঝি, বা সেখানের ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন অবিলম্বে ছাড়িগঙ্গা মুখে “ড্রেজিং” না করালে মাস ছয়েক পর এই মুখটাও বন্ধ হয়ে যাবে। আর গঙ্গার জল ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ হলে ছাড়িগঙ্গাও শুকিয়ে যাবে। একদিকে ভুমিদস্যুরা একটু একটু করে ছাড়িগঙ্গার শুকনো জমি্র দখল নিচ্ছে। অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ টন কচুরিপানা গ্রাস করেছে ছাড়িগঙ্গা।