দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- পালকির ব্যবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে। আধুনিকতার দৌলতে সব কিছুই দ্রুত পাল্টাচ্ছে। গ্রাম-বাংলার হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য পালকি। এ বাহনে চড়া দারুণ মজা।পালকি মানুষের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বাহন ছিল। আগের অনুভূতি আর বর্তমান অনুভূতি একটু ভিন্ন। বিয়ের উৎসবে পালকির কদর ছিল সবচেয়ে বেশি। একটা সময় ছিল বিয়েতে পালকি চাই। গ্রামীণ আঁকা-বাঁকা মেঠো পথে, কখনও আলপথে বর-কনে পালকি চড়ে উভয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসা-যাওয়ার আনন্দঘন একটা দারুণ সময় ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বিলুপ্তপ্রায়। গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিয়ে অনুষ্ঠানে বর-কনের জন্য পালকি ব্যবহারের নিয়ম প্রথা চালু ছিল। তবে প্রকৃতি থেকে একেবারে বিলীন না হলেও হয়তো কোথাও কোথাও এখনও টিকে আছে। তাই এই আধুনিক যুগে পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে আজ বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের রঞ্জনবাজারের একটি বিয়েতে পালকিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি এলেন কনে। বর শুভজিৎ দে ও কনে দেবদূতি ব্যানার্জি। তাঁদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। কিন্তু তাঁরা আধুনিক যুগে কোনো দামি গাড়ী ব্যবহার করেন নি। তাঁদের শখ ছিল বিয়ের সময় পুরোনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। আর সেই পুরোনো ঐতিহ্যই দেখল দুবরাজপুরের রঞ্জনবাজারের বাসিন্দা।