নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জানা যায় ওই এলাকার প্রসিদ্ধ কাপড়ের ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ধনী, তার স্ত্রী পামেলা ধোনির সাথে মতবিরোধের কারণে আলাদা থাকেন। আইন অনুযায়ী স্ত্রীর খোর পোষের মামলার টাকা দিতে, হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। অন্যদিকে মামলা তুলে নেওয়ার নাম করে মাঝেমধ্যেই মোটা অংকের টাকা তার কাছ থেকে আদায় করা হতো বলে পরিবারের দাবি। স্ত্রী পামেলা ধনী তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় দিদির বাড়িতে থাকেন, গত দুদিন আগেও, তাকে সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়ে, ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। একদিকে ওয়ারেন্ট বেরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে টাকা জোগানোর এরই চাপে পড়ে মানষিক দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছে বলে, মনে করছেন বিশ্বজিৎ ধোনির জামাইবাবু বিপদভঞ্জন সিংহ।
দাদা সুজিত ধনী বলেন, মানসিক চাপ এবং আইনি প্রক্রিয়ায় ওর ব্যবসা প্রভাব প্রতিপত্তি সমস্ত শেষ হয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই সম্প্রতি ওর ভাগের রাস্তার সাথে বাড়ি বিক্রি করে 5 লাখ টাকা বউয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলো, তারপরেও টাকার চাপ দিতেই হয়তো এই ঘটনা। তবে বর্তমানে ও যেখানে রয়েছে সেটা আসলে মায়ের নামে মায়ের মৃত্যুর পর দিদি বোনেরা ভাগীদার। কিন্তু সেই জমি বিক্রি করে কতগুলো টাকা জোগাড় করবে কিভাবে? হয়তো ভেবেছিল জেলের থেকে মৃত্যু ভালো, বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে।
ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বজিৎ বাবুর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা নদীয়ার শান্তিপুর সূত্রাগড় লঙ্কাপাড়া এলাকায় প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা কে...