নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রবিবার সমাপ্তি হলো নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিন ব্যাপি ২৯ তম ইতিহাস পুরাতত্ব ও লোক সংস্কৃতি সম্মেলন। নদীয়ার জেলার বহু প্রাচীন শহর সংস্কৃতির পিঠস্থান হল নবদ্বীপ । নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ ভবনের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হলো ২৯ তম ইতিহাস পুরাতত্ত্ব ও লোকসংস্কৃতি সম্মেলন। দুইদিন ব্যাপি এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছিল ১৭ ই ডিসেম্বরে, শনিবার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
যার সমাপ্তি হলো রবিবার ১৮ ই ডিসেম্বর।
এই অনুষ্ঠানের শুভউদ্বোধন করেন, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব কলকাতা মণ্ডলের প্রত্নতাত্ত্বিক মাননীয় ড. শুভ মজুমদার।
তিনি এই সম্মেলনে গঙ্গার পূর্ব পাড়ে অবস্থিত বল্লালসেনের ঢিপি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেকশনের মাধ্যমে অসাধারণ একটা আলোচনা করেন।
তিনি বিভিন্ন পুরাবস্তু দেখিয়ে বলেন , এখানে তন্ত্র সাধনাও হতো। তিনি ড্রোনের মাধ্যমে ছবি ধরে পুরো উৎখনন স্থলের পঞ্চরথ মন্দিরের এই ভগ্নাবশেষ নিয়ে আলোচনা করেন, যা অনেক মানুষেরই অজানা ছিল।
এছাড়া মূল প্রবন্ধ পাঠক ড. স্বপন কুমার ঠাকুর অডিও ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে রাঢ় বঙ্গের অনালোচিত প্রত্নক্ষেত্রগুলি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
২৯ তম এই সম্মেলন অনন্য প্রতিভার অধিকারী বিশিষ্ট পুরাতাত্ত্বিক ননীগোপাল মজুমদার -এর জন্মের একশত পঁচিশ বর্ষকে এদিন স্মরণ করলো।
নিত্যানন্দের জন্মস্থান একচক্রা নিতাই বাড়ীর নিষ্ঠাব্রতী বৈষ্ণব সাধক পুরাতত্ব পরিষদের একান্ত আপনজন শ্রীজীবশরণ দাস বাবাজীর স্মরণে এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়।
এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ প্রবন্ধ পাঠক অমিতাভ মিত্র। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন বর্তমানে, হস্তচালিত তাঁত শিল্পের সংকট এবং তার পরিত্রাণের রাস্তা নিয়ে একটি জ্বলন্ত সমস্যা অতিসাহসের সঙ্গে আলোচনা করেন।
দুদিনের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রদীপ্ত গোস্বামী। এদিনের সভায় স্বাগত ভাষণ দেন ২৯ তম সম্মেলন উপসমিতির সভাপতি রামনারায়ণ ঘোষ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইতিহাসবিদ শান্তিরঞ্জন দেব বলেন, এই সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা কি বা কতোখানি তা আজ সবাই উপলব্ধি করতে পারচ্ছেন ।
তিনি বলেন, স্থানীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ না হলে কোনো বৃহত্তর ইতিহাস সমৃদ্ধ হতে পারে না, তাই পরিষদের এই সম্মেলন প্রাতিষ্ঠানিক গবেষকের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক গবেষকদের কাছে উন্মুক্ত একটা প্লাটফর্ম।
এদিনের সভায় পৌরোহিত্য করেন নবদ্বীপ পুরাতত্ব পরিষদের সভাপতি জীবনকানাই সাহা।