নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: হরিশ্চন্দ্রপুরে সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে তীব্র আক্রমণ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সোমবার ছিল ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের, পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের, রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক কর্মশালা। এই উপলক্ষে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দুজনকেই দেখা যায় কার্যত রণংদেহী মেজাজে।
মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মমতা চেয়েছে তাই এই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। দুই দলের শুধুমাত্র লোক দেখানো লড়াই। দুজনেরই উদ্দেশ্য রাজ্য থেকে বামেদের সাফ করা। তার জন্য মমতাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। কিন্তু তারপরেও রাজ্যজুড়ে লাল পতাকা উড়ছে।’ সেলিমের বক্তব্যে আক্রমণের নিশানা একদিকে যেমন ছিল রাজ্যের শাসকদল এবং মমতা ব্যানার্জি অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বারবার আক্রমণ করেন তিনি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত শাস্তির দাবি জানান সেলিম। অন্যদিকে মীনাক্ষীও তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘হাটের পকেটমাররা এখন বড় বড় নেতা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে একের পর এক কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরি চুরি হয়ে গেছে। পার্থ অর্পিতার ফ্ল্যাটে মানুষ কোটি কোটি টাকা দেখছে। এদিকে রাজ্যের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।’
এদিকে, এদিন সভার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাম কর্মী সমর্থকরা অভিযোগ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বলা হচ্ছে সভাতে গেলে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এক সময় বামেদের গড় হরিশ্চন্দ্রপুরে আজকের এই ভিড় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাম শিবিরের। শাসকদল তৃণমূল মাঝে মাঝেই অভিযোগ করে বাম এবং রাম এক। তাই নেতৃত্ব আজ কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দেয় তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সমান লড়াই তাদের। এবিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, ‘ওদের সভাতে ভিড় হবে না সেটা বুঝতে পেরে অজুহাত দিচ্ছে। যে এলাকায় বিক্ষোভ করছে সেটা আমার এলাকা। সেখানে সিপিআইএমের জনসমর্থন তলানীতে। আমরা কোন বিরোধীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনা। এলাকাতে রাজনৈতিকভাবে কোনও অশান্তি নেই।