জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জানা গেছে গত ২ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। সেইসময় স্কুলের একটি ক্লাসে গার্ড দিচ্ছিলেন সহকারী শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিক। ওইসময় ক্লাসে যান স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী পম্পা ভৌমিক। সেইসময় ছাত্রীদের সামনে পম্পা দেবীকে ছাতা চোর বলে অপবাদ দেন বনশ্রী দেবী। অভিযোগ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পম্পা ভৌমিক।
এরপর স্কুলের সমস্ত অশিক্ষক কর্মীরা মিলে বিশয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জানালে একটি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে পর সিদ্ধান্ত হয় বিষয়টি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত আকারে জানানো হবে। থানায় জানালে পুলিশ আধিকারিকেরা দিদিমনিদের বলেন স্কুলে ফের বৈঠক ডাকবার জন্য।
আজ সেই বৈঠক ছিল। বৈঠকে স্টাফ কাউন্সিলের সকল সদস্য উপস্থিতি ছিলেন। বৈঠকে ভুল স্বীকার করবার জন্য বনশ্রী ভৌমিককে অনুরোধ করেন উপস্থিত সকলে।উনি ভুল স্বীকার না করলে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এরপর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বনশ্রী ভৌমিক। কিন্তু তখনও স্কুল ছুটি না হওয়ায় তাকে আটকাতে গেটের দিকে ছুটে যান বড়দিমনি সহ অন্যান্যরা। এরপর খবর যায় থানায়। থানা থেকে আসে পুলিশ। ফের বসে বৈঠক। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধান সুত্র না বের হয়নি।
প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় জানিয়েছেন পুলিশের নির্দেশে স্টাফ কাউন্সিল মিটিং ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সুত্র না বের হওয়ায় বিশয়টি আমি থানায় জানাবো।