নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় কলেজের পার্ট টাইমার,হাইস্কুল শিক্ষক ও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী,এম এস কে শিক্ষক,পঞ্চায়েত প্রধান,উপ প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর নাম দেখে চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর!এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগ নিতে অস্বীকার বিডিওর।বিডিওর বিরুদ্ধে জেলা শাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের কংগ্রেসের।
জানা গেছে আবাস যোজনা তালিকায়
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথে ব্যাপকহারে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।বিশেষ করে মশালদহ ও দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা তালিকায় স্বজন পোষনের অভিযোগ তুলেছেন তারা।অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তাদের বঞ্চিত রেখে কাট মানির বিনিময়ে অবস্থা সম্পন্নদের তালিকায় নাম তোলা হয়েছে।সদ্য প্রকাশিত তালিকায় একাধিক সরকারি চাকরিজীবী ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে।তালিকায় নাম রয়েছে সামসী কলেজের পার্ট টাইমার মোজাহিদ রহমান,মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা পারভীন,দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আনোয়ারা বিবি ওরফে হাসনারা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম,মালদা অমৃতি ইংলিশ বাজার এলাকার এমএসকে শিক্ষক মহম্মদ এনামুল হক ও সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনিপাড়া প্রাইমারি স্কুলের আংশিক শিক্ষক মহম্মদ আরিফের স্ত্রী তাজেনুর বেগমের।সরকারিভাবে সার্ভে হওয়া সত্ত্বেও এদের নাম তালিকায় কি করে থেকে গেল তা স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
অভিযোগকারী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের
সদস্য খলিলুর রহমান জানান,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় প্রকৃত উপ ভোক্তাদের বঞ্চিত রেখে কাটমানির বিনিময়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরা চাকরিজীবী ও অবস্থা সম্পন্নদের নাম নথিভুক্ত করেছে।এই মর্মে গত ১৯ ডিসেম্বর পুনরায় সার্ভের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি র নিকট অভিযোগ করতে গেলে বিডিও বিজয় গিরি সরাসরি অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।তাই জেলা শাসকের নিকট দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন তিনি বলে দাবি।
বিডিও বিজয় গিরি জানান,তার কাছে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।এই নিয়ে যা কিছু বলার জেলা শাসক বলবে।
অভিযোগ হতেই মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও সামসী কলেজের পার্ট টাইমার মোজাহিদ রহমান ব্লকে গিয়ে স্বেচ্ছায় নামগুলো বাদ দিয়ে দেওয়ার জন্য বিডিওর নিকট আবেদন করবেন বলে জানান।