আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ ২৫ শে ডিসেম্বর, শীত জড়ানো বড়দিনের রাতে পর্যটকবাহী গাড়ি চালকদের ‘আলসেমি’ কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের। দীর্ঘ পথ স্টিয়ারিং হাতে চালকের আসনে বসে থাকা অবস্থায় অনেক সময় অনেকেরই ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসে। ফলে বাড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। এবার তাই সেই অবাঞ্ছিত দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালকদের ধুমায়িত চা উপহার দিলেন সিমলাপাল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী- আধিকারিকরা। শনিবার প্রাক্ বড়দিনের রাতে পুলিশের সৌজন্যে অভিনব না হলেও বিশেষ ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। রাতের অন্ধকার ভেদ করে দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমনিপুর যাওয়ার পথে লক্ষীসাগর সেন্টার মোড়ে পুলিশের হাত থেকে কাগজের কাপে ধুমায়িত চায়ে দীর্ঘ যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর করার সুযোগ হাতছাড়া করলেননা অনেক চালকই।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিনে অসংখ্য পর্যটকবাহি যানবাহন সিমলাপাল-খাতড়া ভায়া লক্ষীসাগর রাস্তা দিয়ে মুকুটমনিপুরে যায়। গভীর রাত বা ভোরের দিকে অনেক সময়ই গাড়ির চালকদের ক্লান্তিতে ঘুম পেয়ে যায়। একাধিক দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে চলন্ত গাড়ির চালকদের ঘুমিয়ে পড়ার তথ্য সামনে এসেছে। আর এবার তাই সেই 'ঘুম' কাটাতেই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ পুলিশের বলে জানানো হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচীর নেতৃত্বে ছিলেন সিমলাপাল থানার এ.এস.আই অভিজিৎ সরখেল।
এদিন রাতে প্রথম দিকে ডেস্টিনেশানে পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে পুলিশের গাড়ি আটকাতে চালকরা খানিক স্তম্ভিত হয়ে যান, পরক্ষণেই এই বিশেষ অতিথিসূলভ আপ্যায়নে ও দূর্ঘটনা এড়াতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার জন্য সংশ্লিষ্ট চালকরা প্রত্যেকেই পুলিশের এই কাজে ভূয়সী প্রসংশা করেন।