ভিন রাজ্য থেকে আসা বড়দিনে কচিকাঁচাদের পাশে দেখা গেল মানুষরূপী ভগবানকে।

0
168

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বিহার থেকে আসা বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের ইটভাটায় কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের গায়ে এই কনকনে ঠান্ডায় নেই কোনো শীতের পোশাক নিউজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করে আমাদের সাংবাদিক। তৎক্ষণাৎ আমাদের সাংবাদিক যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ পূর্ব যাদবপুর থানায় কর্মরত জিয়াউল আনসারী বাবুর সাথে। সাংবাদিক আব্দুল হাইয়ের মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ২৪০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে এলেন জিয়াউল আনসারী। ভিন রাজ্য থেকে আসা দুঃস্থ ইটভাটার সকল শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের বড়দিনে একটু আনন্দ দিতে আর একটু খুশিতে রাখতে কচিকাঁচাদের হাতে সোয়েটার ও কেক তুলে দিলেন এবং সকলকে দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে পেট পুরে খাওয়ালেন। এর আগে ইন্দাসের ক্যানসার আক্রান্ত বুলি নন্দীর কন্যা শ্রেয়া নন্দীর হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেন।ইটভাটা শ্রমিকদের দুরবস্থা দেখে উনার কোমল হৃদয়কে নাড়া দেয়। একবার পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মা বিদ্যাসাগরের দেওয়া শীতবস্ত্র ব্যবহার করেননি। মা কেন শীত বস্ত্র ব্যবহার করছেন না জিজ্ঞেস করলে ভগবতী দেবী বলেন তার গ্রামের অনেক গরীব গ্রামবাসীর হাড় কাঁপানো শীতে পরিধান করার মতো কোন শীতবস্ত্র নেই। ভগবতী দেবীর এই কথা পুত্রের কোমল হৃদয় স্পর্শ করে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গ্রামবাসীদের সকলের জন্য শীতবস্ত্র দান করলেন। জিয়উল আনসারী বাবুর এই মহৎ মানবিক উদ্যোগ বিদ্যাসাগরের কথা মনে করিয়ে দিল। তিনি গরিবের রবিনহুড হয়ে ইটভাটা শ্রমিকদের সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। বর্তমান স্বার্থ মগ্নযুগে কেউই অপরের দুর্দশার কথা ভাবতেই চায় না। তবুও জিয়াউল আনসারী বাবুর মত কিছু মানুষ আছেন বলেই পৃথিবীটা আজও সুন্দর। পৃথিবী থেকে মনুষ্যত্ববোধ, সহমর্মিতা, মানবিকতা এখনো টিকে আছে।রবি ঠাকুরের কবিতার সেই লাইন অনেকেরই হয়তো মনে পড়ে যাবে মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,আমি তোমাদেরই লোক।