খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া মহিষাদলে, গ্রামীণ স্বশাসনে পোষ্টার দিয়ে ফতেয়া জারি এক পরিবারের বিরুদ্ধে,পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার।

0
174

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ছবি লাল দাসের পরিবারকে একা ঘরে করে রাখার নিদান দিয়ে গ্রামের একাধিক জায়গায় বাড়িতে বাড়িতে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে । কোনঠাসা করে রাখার অভিযোগ উঠল ওই এলাকার পল্লী সমবায় গ্রামিন কমিটির বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের জগৎপুর গ্রামের পশ্চিম কুইলা রবীন্দ্রপল্লী এলাকার ঘটনা। অভিযোগ গতকাল রাত্রিতে জগৎপুর পশ্চিম কুইলা রবীন্দ্রপল্লী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একাধিক পোস্টার লাগানো হয়েছে পল্লীর প্রতিটি বাড়ির দরজার সামনেই। এই পোস্টারে লেখা থাকতে দেখা যায় ছবি লাল দাস কে আমাদের পাড়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কোনভাবেই পাড়ার কোন ব্যক্তি তার বাড়িতে নেমন্তন্ন বা মেলামেশা করলে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। নিবেদন স্বরুপ পোস্টারে লেখা থাকে ওই পল্লী কমিটির সভাপতি রঙ্গলাল কুইল্যা, সম্পাদক বিধানচন্দ্র কুইল্যা ও কোষাধক্ষ্য মধুসূদন মান্নার নাম দিয়ে পোস্টার। পল্লী জুড়ে এই স্বায়ত্ত শাসনের পোস্টার দেখার পর হতবাক ছবিলাল দাস সই তার বাড়ির লোকজন। কেন সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে ওই পরিবারের প্রতি ফতেয়া জারি করা হয়েছে? এই নিয়ে ছবি লাল দাসের ছেলে প্রণয় কুমার দাস তিনি জানান আমার বাবা এক সময় ওই পল্লী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কয়েক মাস আগেই ওই কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয় আমার বাবাকে। তার বিশেষ কারণ আমি এক বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করি এর ফলে আমাদের এই দাম্পত্য জীবন পল্লীবাসী মেনে নিতে পারেননি। ফলে প্রথমে বাবাকে ওই পল্লী কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয় পরে আমাদের পরিবারকে কোন ঠাসা করার চেষ্টা করে। পরে এই পোস্টার এর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে আরও বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছে ওরা। যার ফলে আমরা আতঙ্কিত। পরে ছবি লাল দাসের পরিবার এই নিয়ে মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও প্রতিবেশীরা জানান তারা এই পোস্টার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে পোস্টারের নিচে বিনীত নাম থাকা ব্যক্তিগণ কিছুই বলতে নারাজ। গ্রাম গ্রামীণ প্রশাসনে ফতেয়ালি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিতই দাস পরিবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মহিষাদলের জগতপুর এলাকায়।