পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাজ্যে প্রকাশ্যে খুন হচ্ছে, দিদি কোথায় আছেন? সরকার কি ঘুমোচ্ছে! উলবেরিয়া কান্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার সাতসকাল খড়্গপুর শহরে চা চক্রে যোগ দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংসদ দিলীপ ঘোষ, অন্যদিকে আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন আবাস যোজনার জন্য দিল্লির থেকে কোটি কোটি টাকা আসছে। কিন্তু গ্রাম বাংলায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে না। পার্টির লোক হলে তবেই মিলবে আবাস যোজনার বাড়ি। কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের লিস্টের ফারাক হচ্ছে কিভাবে? আবাস যোজনা দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরকারকে তোপ দিলীপ ঘোষের। পাশাপাশি ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ নিয়ে তিনি বলেন এতদিন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছে আর সেই টাকা লুট হয়েছে। রাজ্যের তরফে দেখানো হয়েছে টাকা খরচ হয়েছে তবে কাজ হয়নি গ্রাম বাংলায়। লুট যাতে বন্ধ হয় সে জন্যই এবার নয়া ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে ফের কলকাতা শহরে বোমা উদ্ধারের প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন সারা বাংলা যেখানে সেখানে বোমা বারুদ বন্দুক পড়ে আছে। এটাই রাজ্যের বর্তমান অবস্থা।
তিনি আরো বলেন ২০২২ সাল সফলভাবে শেষ করেছে প্রধানমন্ত্রী। সারা বিশ্বের কাছে দেশের নাম তুলে ধরেছেন। সামরিক ক্ষেত্রে সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই সফলতা এসেছে। ৩০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে উপহার দিতে চলেছেন বন্দে ভারত। বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার মনে রাখবে। পাশাপাশি গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন তৃণমূলের সাথে না থাকলে করে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু অরিজিত সিং নয় যারা তৃণমূলের সাথে নেই প্রত্যেকের শো বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল।
পাশাপাশি বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় বিজেপির প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের থাকা না থাকা নিয়ে আসে যায় না বিজেপির। বিজেপির সংগঠন মজবুত। নিজের পায়ে লড়াই করবে দলের কর্মীরা।এইদিন চা চক্রে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি খড়্গপুরের বোগদায় দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে জনসংযোগ সারলেন তিনি। এবং কর্মীদের সাথে কথোপকথন করেন দিলীপ ঘোষ।