নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ ধানতলায় এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মতুয়া মহা সম্মেলনে যোগ দিলেন বিকেলে । এর আগে রানাঘাটে বিধায়কের বাড়ি ঘুরে গেলেন। ভিসা পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে বা চাকরির ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে কেন বারবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনদের কাছে ৭১ সালের আগের দলিল চাওয়া হয়। এই অপমান মেনে নেওয়া যায় না। সিএএ কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন সহ মতুয়া সম্প্রদায় মানুষজনদের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে শনিবার বিকেলে নদীয়ার রানাঘাটের ধানতলায় মতুয়া সংঘের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এসে একথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৯ সালে লোকসভায় সিএবিল পাস হওয়ার পর শুধুমাত্র এই রাজ্যের মতুয়া বিরোধী, উদ্বাস্তু বিরোধী তোশন বাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের বিরোধিতা শুরু করেন যা সারা ভারতবর্ষে নজিরবিহীন ঘটনা। এছাড়াও ‘কে কে ছি ছি” এই স্লোগান কে সামনে রেখে কলকাতার বুকে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনে আগুন লাগানোর মতন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে এই দিনের প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। এছাড়াও ঐ দিন মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত এক হাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী দিনে সিএএ বিরোধী তৃণমূল মনোনীত রাজ্য সরকার কে এই রাজ্য থেকে চিরদিনের মতো বিতাড়িত করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। সি এ এ প্রসঙ্গে ২০২১ সালে বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী ঘটনাবলিও এই দিন তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। এমন কি লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে আইন প্রণয়ন করার দাবিও এই দিন মঞ্চ থেকে তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি কতিপয় অসাধু চক্রের দ্বারা গরিব দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর করার চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে বলেও এই দিন হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এবং ভারতবর্ষে সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠা করার দাবিও এই দিন তোলেন তিনি।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম তথা মুখ্যমন্ত্রী...