নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও দ্বিতীয় মেয়ে কে বিবাহ করেছে স্বামী। এই ঘটনা শোনার পরই আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। শোবার ঘর থেকে উদ্ধার হল বধূর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদাহের চাঁচোল থানার হযরতপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। স্বামী সহ দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধুর নাম পিংকি প্রামানিক (৩০)। কয়েক বছর আগে মালদহের চাচল থানার হযরতপুরের বাসিন্দা রাজু প্রামানিকের সাথে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কয়েকমাস আগে আরেকটি বিয়ে করেন রাজু প্রামানিক আর সেই বিয়ের পর থেকেই বিবাদ লেগেই সংসারে। গতকাল সন্ধ্যেবেলা সেই বিবাদ চরমে ওঠে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দ্বিতীয় রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া প্রমাণিক কটু কথা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সতীন পিংকি প্রামানিক কে করেন। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। শোবার ঘর থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। যদিও মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, পিংকি আত্মহত্যা করেনি তাকে খুন করা হয়েছে খুন করেছে তার স্বামী সহ সতীন। এই মর্মে আমরা চাঁচোল থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্টে নিয়ে ঘটনার তদন্ত স্পষ্ট হবে।