নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট:- সামনেই পঞ্চায়েত ভোট সে দিকে লক্ষ রেখেই সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতেও তৃনমুল দল কোমর বেধে বাড়ি বাড়ি দিদির সুরক্ষা কবজ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে।পাশাপাশি শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃনমুল নেত্রী ডঃশশী পাজা কে এনে বালুরঘাটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার করে যাওয়া সভার পালটা জবাব দিতে সভা করার কথা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে জেলা তৃনমুল নেতৃত্ব।
আজ বালুরঘাটে সুবর্নতট সভাগৃহে জেলা তৃনমুল সভাপতি মৃনাল সরকারের নেতৃত্বে জেলার তৃনমুল নেতৃত্বদের নিয়ে দিদির সুরক্ষা কবজ জেলায় শুরু করবার ব্যাপারে এক বৈঠক করেন।
সেখানে পুরো বিষয়টি সুরক্ষা কবজের উপর নির্মিত এই একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মধ্যমে উপস্থিত তৃনমুল কার্যকর্তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃনমুল সভাপতি মৃনাল সরকার জানান দিদির এই সুরক্ষা কবজ নিয়ে আমাদের দলের প্রতিনিধিরা জেলার সমস্ত ব্লকের বাড়ি বাড়ি যাবেন। গৃহকর্তাদের স্মার্ট ফোনে দিদির এই কবজেরApp ডাউনলোড করবে এবং এর মধ্যমে তাদের যদি কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে অসুবিধে হয় বা তাদের কোন অভিযোগ থাকে তা তাদের জানাতে বলা হবে।পাশাপাশি সে সব বাড়িতে এই কবজের স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে গৃহকর্তাদের হাতে এর রিবন পড়িয়ে দেওয়া হবে।
তার আরো বক্তব্য সরকারের নানান প্রকল্প অনেক সময় মানুষ সে সব ঠিকমত অবহিত হতে পারেন না। এই সুরক্ষা কবজের মধ্যমে তারা তা জানতে পারবেন ও তার থেকে তারা নিজেদের উপকৃত হতে পারবেন বলে তিনি জানান।
এরপাশাপাশি তিনি আরো জানান চলতি সপ্তাহে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি বালুরঘাট থানা মোরে একটি সভা করেছিলেন। সেখানে তারা অনেক অসত্য কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝানোর পাশাপাশি প্ররোচনা মুলক বক্তব্য রেখেছে। যা নিয়ে শান্ত বাংলা ও জেলায় চারিদিকে নানান অশান্তির বাতাবরন দেখা দিচ্ছে। তার জবাব দিতে আগামীকাল শুক্রবার বালুরঘাট থানা মোরেই তৃনমুল একটি সভা করবে। সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী শশি পাজা বলে তিনি জানান।
এছাড়াও আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সীমান্ত জেলায় বি এস এফ এর বাড়াবাড়ি নিয়ে একরাশ অভিযোগ জানিয়ে বলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এই জেলার মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হবে বলে তিনি জানান। তার আরো দাবি ২০১৮ সালে এই রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপুর্ন পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে।শুধু ১৮ নয় তার দাবি ১৯ ও ২১ সালেও অবাধ ও শান্তিপুর্ন ভোট হয়েছে।