আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয়রে চলে আয় আয়” পিঠা আমাদের লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। শীত ঋতুতে বাঙালি পিঠে পুলি উৎসবে মেতে ওঠে। পৌষ পার্বণের নাম শুনলেই পেটটা কেমন যেন খাই খাই করে ওঠে।পৌষ মাস শুরু হতেই মা ঠাকুমার হাতের চালের আটার রুটির কথা মনে পড়ে যায়। বাংলার ঘরে ঘরে একটু উঁকিঝুঁকি মারলেই চোখে পড়বে পিঠা পরবের প্রস্তুতি।কনকনে ঠান্ডায় বাড়িতে বাড়িতে উনানের পাশে বসে গরম গরম পিঠা খাওয়ার ঐতিহ্য বহুকালের। পৌষ পার্বণে আজ প্রচন্ড কুয়াশায় ঢেকে আছে রাস্তাঘাট
তা সত্ত্বেও আমাদের ক্যামেরা পৌঁছে গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের জয়নগর,সিমুলিয়া গ্ৰামের বাড়িতে বাড়িতে ।পৌষ পার্বণে মা ঠাকুমার হাতের চালের আটার রুটি আর খেজুর গুড় কিম্বা সুজির হালুয়া সে অনন্য স্বাদ ভুলতে পারা যায় না।পৌষ পার্বণে মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে গৃহবধূরা মাটির উনানে চালের আটার রুটি তৈরি করতে ব্যস্ত। আর রুটি পিঠা খাওয়ার জন্য কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কিশোর কিশোরী ও বড়রা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। চালের আটার রুটি নরম তুলতুলে দেখলেই জীভে জল চলে আসে। চালের আটার রুটি বহুক্ষণ নরম থাকে।চালের আটা হল পুষ্টির অন্যতম সস্তা উৎস। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের একটা অংশ পিঠা পরব। প্রকৃতিতে যতদিন শীত ঋতু থাকবে ততদিনই দেখা যাবে চালের আটার রুটি পিঠা।