দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গাসাগর গ্রামে পুণ্যস্নান মকর সংক্রান্তিতে।”সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার” অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পূণ্য অর্জন হয়। মকর সংক্রান্তির দিন রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়। কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। ফলে “দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর” মতো বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে আত্রেয়ী নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করতে চাইছেন বহু পুণ্যার্থী।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহর থেকে মাত্র 5 কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নামের মাহাত্ম্য অনুসারে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিলমুনির মন্দির গড়ে তোলেন। সেই থেকে শুরু হয় মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা থেকে জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষ এখানে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে আসেন। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।
গঙ্গাসাগর গ্রামে আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে আসা পুণ্যার্থীরা জানান, গঙ্গাসাগর অনেক দূরের রাস্তা, তাই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে স্নান করেই সমান অর্জন করা যায়। অনেকেই আর্থিক কারণে রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের গঙ্গাসাগরে না গিয়ে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গাসাগর গ্রামেই পুণ্যস্নান সেরে নিতে চান।
গঙ্গাসাগর গ্রামের বাসিন্দা জানান, গ্রামের নাম গঙ্গাসাগর হওয়ায় প্রায় 40 বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানে কপিলমুনির মন্দির তৈরি করেন। সে সময় থেকেই পুণ্যস্নান চলছে মকর সংক্রান্তিতে। স্থানীয় মানুষজন ছাড়া বাইরে থেকেও বহু মানুষ এখানে পুণ্য স্নান করতে আসেন।
গঙ্গাসাগর মেলা কমিটির সম্পাদক কালীদাস মন্ডল জানান, প্রায় 40 বছর ধরে এখানে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান চলছে। প্রতিবছর মেলা তিন দিনের মেলা ও নাম সংকীর্তন হয় মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে।