দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- অপরাধমূলক ঘটনা যখন বাড়ছে,তখন আত্মরক্ষার কৌশল ছোটো থেকেই শেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ আজ যারা ছোটো, তারাই তো ভবিষ্যতের নাগরিক। তাই দেহে-মনে শক্তিশালী সমাজ গঠনে ক্যারাটের গুরুত্ব অনেক। খেলার স্বাদও তাতে মিশে আছে। এমনই এক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উৎসাহী কচিকাঁচারা চ্যাম্পিয়ন হল। বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের ইউথ কর্ণার ক্যারাটে একাডেমির ৭ জন খুদে আন্তঃজেলা ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি বীরভূম জেলার রামপুরহাট রেলওয়ে আদর্শ বিদ্যামন্দিরে মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার শতাধিক ক্যারাটে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। দুবরাজপুর ইউথ কর্ণার ক্যারাটে একাডেমির মাহি উদেশি, বহ্নি চক্রবর্ত্তী ও অরন্য মণ্ডল প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি পরিনিধি শর্মা, অনীক সিং ও তুষার গড়াই তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাছাড়াও ১৪ থেকে ১৫ বছর গ্রুপে অভী দাস চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুবরাজপুর ইউথ কর্ণার ক্যারাটে একাডেমির ১০ জন ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে ৭ জন প্রতিযোগী সফল হয়েছে। তাই তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে দুবরাজপুর বিধানসভার খয়রাশোল ক্যারাটে একাডেমির স্তুতি পন্ডিত প্রথম, রানী ঘোষ ও অন্তরা চৌধুরী দ্বিতীয় এবং উপাসনা সূত্রধর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম বিচারক অলক চ্যাটার্জি, অতিরিক্ত বিচারক সিদ্দিক মিয়া প্রমুখ। সেনসাই অলক চ্যাটার্জি জানান, দুবরাজপুর ইউথ কর্ণার ক্যারাটে একাডেমি ও খয়রাশোল ক্যারাটে একাডেমি থেকে মোট ২৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই সফল হয়েছে। যাঁরা আন্তঃজেলা ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তাঁদের অভিভাবকদের সহযোগিতা থাকলে তারা জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করবে।