বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বাংলা বৈচিত্র্যে একেবারে ভরপুর। অথচ এমন অনেক বাঙালিই রয়েছেন যাদের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই বাংলা ঘুরে দেখবার। শুধু ভ্রমণই নয় রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে অনেক সময়ই কাজের প্রয়োজনে যেতে হয় যুবক যুবতীদের , সেক্ষেত্রেও তাদের চিন্তা থেকে যায় ‘কোথায় থাকব ‘। কিন্তু এই সাধ আর সাধ্যকে মিলিয়ে দিয়েছে রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতর পরিচালিত ‘যুব আবাস ‘ বা ইউথ হোস্টেল গুলি।সেদিকে লক্ষ রেখেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট জেলা সদরে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে যুব আবাস গড়ে উঠলেও কোন এক অজানা কারনে আজও তা বাইরের থেকে বিভিন্ন কাজে যুবক যুবতিদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব পর হয়ে ওঠেনি।যদিও জেলা শাসক বিজিন কৃষনা জানিয়েছেন, কিছু কাজ বাকি আছে তা ছাড়া কিছু আসবাব পত্রের ব্যবস্থ্যা বাকি রয়েছে। বিষয়টি যুব দফতর দেখছে। আশাকরি এর মধ্যে চালু হয়ে যাবে।
বালুরঘাট শহরের একটু বাহিরে হিলি বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খানপুর এলাকায় কয়েক বছর আগে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে গড়ে তোলা হয় এই যুব আবাস। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা যুবক যুবতী সহ সাধারন নাগরিক দের অভিযোগ এমনিতেই শহরের বাইরে ও অপরিচ্ছন্ন এবং নির্জন পরিবেশে তা গড়ে তোলা হয়েছে। যে সেখানে বসবাস করাই মুশকিল। তাছাড়া রয়েছে যাতায়াতের সমস্যা। আবাস স্থল থেকে শহরে যাওয়ার জন্য সব সময় কোন রিক্সা বা টোটো ছাড়াও অন্য কোন যানবাহন পাওয়া দুষ্কর। তাও রিক্সা ও টোটো সময় মত মেলা ভার। তারজন্য কয়েক বছর আগে যুব আবাস গড়ে উঠলেও তা আজও জেলা প্রশাসন বা যুব দফতর খুলে দিতে নিজেরাই অক্ষম। যার জেরে ওই আবাস স্থল আজ জংগলের গাছ গাছালিতে ঢাকা পরে বর্তমানে ওই যুব আবাস কেন্দ্র এলাকার সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতিদের আশ্রয় স্থল হিসেবেই স্থানিওদের কাছে বিভিষিকা হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানিওরা।
বলাই বাহুল্য অন্যান্য হোটেল বা আবাসনের থেকে সরকারি যুব আবাসে থাকার খরচ অনেক কম এবং এই যুব আবাসে বিভিন্ন ধরনের রুমের ব্যবস্থা থাকায় বিভিন্ন কাজে জেলায় আসা মানুষজনের কাছে এই যুব আবাস হয়ে উঠতে পারত সুরক্ষিত বাসস্থান যোগ্য।কিন্তু জায়গা চয়ন ও পরিকল্পনা সঠিক অভাবের দরুন কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে যুব আবাস গড়ে উঠলেও আজও তা যুবক যুবতীদের জন্য খুলে দিতে পারল না জেলা প্রশাসন।