প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : দীর্ঘ ১৪ মাস ডেল্টা জুট মিল বন্ধ, এলাকা শ্রমিকরা বাসে করে অন্য মিলে কাজ করতে যায় । মিল বন্ধ থাকায় এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে বললেই চলে। পার্শ্ববর্তী মানিকপুর এলাকার দোকান বাজারে বিক্রি বাটা নেই। এমতাবস্থায় শ্রম মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় হাওড়া আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরুপেশ ভট্টাচার্য এবং সাঁকরাইল এর বিধায়িকা প্রিয়া পালের প্রচেষ্টায় আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ শে জানুয়ারি সোমবার ডেল্টা জুন মিল খুলতে চলেছে। জুট মিল খোলার ঘোষণা উপলক্ষে মিলে গেটের পাশে মঞ্চ করে সভার ব্যবস্থা করলেন সাঁকরাইল তৃণমূল আইএনটিটিসিইউ সভাপতি আহমেদ শেখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাঁকরাইল বিধায়িকা প্রিয়া পাল, হাওড়া জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য, সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমৃত বোস, সাঁকরাইল যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রণয় কাড়ার, সাঁকরাইল মহিলা সমিতির সভানেত্রী নাসিমা কাজী, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ তপন পাল, দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের প্রধান কাশমিরা খান সহ তৃণমূলে বিভিন্ন নেতৃত্ববৃন্দ এবং ডেল্টা জুট মিলের শ্রমিক বৃন্দ। সভায় বিভিন্ন নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখেন এবং ডেল্টা জুট মিল খোলার জন্য শ্রম মন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন। সাঁকরাইলের বিধায়িকা বললেন ডেল্টা জুট মিলের মালিক ঠিকঠাক নয় সেই জন্যেই মিল মাঝে মাঝে বন্ধ হচ্ছে। আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বললেন জুট মিলের মালিক সিএসসি এবং পিএফ এর অধিকাংশ টাকা জমা দেননি। যার ফলে মিল খুলতে আরো দেরি হলো। তবে শ্রম মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় অবশেষে সমস্ত জট খুলে আগামীকাল মিল খোলার ব্যাপারে সম্মতি হন জুট মিলের মালিক। তিনিও বললেন প্রথমদিকে সাফাই হবে পরে আস্তে আস্তে শ্রমিকরা পুরোপুরি ভাবে কাজ করতে শুরু করবে। দীর্ঘদিন পর মিলখোলা শুভ খবরে এলাকায় খুশির হাওয়া বয়ে এলো শ্রমিকদের মধ্যে। তবে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যায় “ঘর পোড়া গরু তো! সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়” আবার বেশ কিছুদিন চলার পর মিল বন্ধ হয়ে যাবে না তো ? কানা ঘুসো শোনা গেল শ্রমিক মহলে। এখন দেখার কবে থেকে সম্পূর্ণভাবে মিল চালু হবে সেই দিকে তাকিয়ে আপামর ডেল্টা জুটমিলের শ্রমিক মহল।