আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া সাইবার থানার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কল্যানী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ও বড়জোড়া ব্লকের পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে ফোন কল আসে। ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা প্রতারক নিজেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের জয়েন্ট বিডিও হিসাবে পরিচয় দিয়ে দুজনকেই জানায় সংশ্লিষ্ট ওন্দা ও বড়জোড়া ব্লকে আশা কর্মী ও আইসিডিএস সহ একাধিক শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করা হবে। উপ প্রধানদের আত্মীয় বা পরিচিত কেউ ইচ্ছুক থাকলে দ্রুত তাঁর সাথে যোগাযোগের কথা বলা হয়। এরপর কল্যানী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মাধ্যমে তিন জন যুবক পৃথক পৃথক ভাবে অজানা ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফোন পে র মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। প্রতারকদের কথামতো তিনজন পৃথক পৃথক ভাবে সর্বমোট ২ লক্ষ টাকার বেশি ফোন পে র মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফোন পে একাউন্টে পাঠিয়ে দেন। তিনজনকেই জানানো হয় পরের দিন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও অফিসে। পরের দিন তিনজন সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসগুলিতে গেলে বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরই তিনজন পৃথক পৃথক ভাবে ওন্দা ও বেলিয়াতোড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে বাঁকুড়া সাইবার থানা। বিশেষ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সাইবার থানার পুলিশ উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত এলাকার চারজনকে চিহ্নিত করে। গতকাল রাতে বারাসাত এলাকায় হানা দিয়ে ওই চার প্রতারককে গ্রেফতার করে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসে। আজ ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে সাইবার থানার পুলিশ। পুলিশের দাবী এই চক্রে আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।