নব নিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ দেখালেন চাঁচল ৪৫ বিধানসভার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

0
150

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—-NRGS প্রকল্পে ও বন্যা ত্রান দুর্নীতির দায়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাধীন পঞ্চায়েত উপ প্রধানকে করা হয়েছে অঞ্চল সভাপতি।নব নিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ দেখালেন চাঁচল ৪৫ বিধানসভার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।এদিন বিক্ষোভকারীরা কুশিদা বাস স্ট্যান্ডে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে ঘন্টা খানেক ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

জানা গেছে,গত সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১(বি) ব্লকের তুলসীহাটা,কুশিদা ও বরুই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়েছে।কুশিদা(A)অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে উপ প্রধান মহম্মদ নুর আজম কে।এতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা।

উল্লেখ্য গত সোমবার অঞ্চল কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ার আগেই পঞ্চায়েত সদস্যা আরোধরা পদ্দারের স্বামী অলোক পদ্দারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন উপ প্রধান নুর আজমের সমর্থকেরা। তাদের অভিযোগ ছিল অলোক পদ্দারকে অঞ্চল সভাপতি করা হলে তাকে তারা
অঞ্চল সভাপতি হিসেবে মানবেন না।সেদিনেই সন্ধ্যায় তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা যায় অলোক পদ্দারের নাম অঞ্চল সভাপতি পদে নেই।অথচ সেই তালিকায় অঞ্চল সভাপতি পদে নাম রয়েছে উপ প্রধান মহম্মদ নুর আজমের।পঞ্চায়েত প্রাক্কালে অলোক পদ্দারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেখিয়েছিলেন নুর আজমের সমর্থকেরা বলে অভিযোগ।এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে উপপ্রধান বলে অভিযোগ।এরপরেই বুধবার পাল্টা বিক্ষোভ দেখালেন অলোক পদ্দারের সমর্থকেরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,মহম্মদ নুর আজম উপ প্রধানের পাশাপাশি সুপারভাইজারের দায়িত্বে রয়েছে।তার নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।১০০ দিন প্রকল্পের ১০ কোটি দুর্নীতি ও ২০১৭ সালের বন্যা ত্রান দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দুই দুইটি জনস্বার্থ মামলা চলছে।PHE ও হাসপাতালে চাকরী দেওয়ার নাম করে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে রেখেছে বলে অভিযোগ।পঞ্চায়েত টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন শুরু করে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ।এই দুর্নীতিগ্রস্ত উপ প্রধানকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করছেন বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ বলে অভিযোগ।নুর আজম এলাকা থেকে কাটমানি তুলে ও দুর্নীতির লক্ষ লক্ষ টাকার ভাগ পাঠাচ্ছে বিধায়ককে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে।

বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।