ব্ল্যাক বেল্ট সম্মানে ভূষিত দুই ক্যারাটে প্রশিক্ষককে সংবর্ধনা।

0
344

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যে কোনও কিছুরই শ্রেষ্ঠ মাপকাঠি। ঘরের কৃতী পরদেশে কদর পেলে আনন্দ আর গৌরব দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। তার প্রমাণ আবার মিললো বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে। দুবরাজপুরের ইউথ কর্ণার ক্লাবের দুই ক্যারাটে প্রশিক্ষক ইন্টারন্যাশনাল ক্যারাটে অর্গানাইজেশন জাপানের ব্ল্যাক বেল্ট সম্মান অর্জন করলেন। জাপান থেকে সেন্সাই অলোক চ্যাটার্জিকে থার্ড ডান ব্ল্যাক বেল্ট ও সেন্সাই সিদ্দিক মিয়াকে ফার্স্ট ডান ব্ল্যাক বেল্ট দেওয়া হয় এবং একটি করে শংসাপত্রও দেওয়া হয়। দুবরাজপুরের ইউথ কর্ণার ক্লাবে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেয় সেই সকল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবিকাদের পক্ষ থেকে দুই ক্যারাটে প্রশিক্ষককে সংবর্ধনা জানানো হয়। দুই ক্যারাটে প্রশিক্ষককে উত্তরীয়, ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধিত করেন সুমন শর্মা নামে এক অভিভাবিকা। পাশাপাশি তাঁদের দুজনকে মিষ্টিমুখও করান তিনি। সেন্সাই অলোক চ্যাটার্জি জানান, আমি এখানে ২৮ বছর ধরে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। অনেক ছাত্র ডিফেন্সে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু কোনো ছাত্র জাপান থেকে ব্ল্যাক বেল্ট ও শংসাপত্র পাইনি। আমার ছাত্র হিসেবে একমাত্র সিদ্দিক মিয়া ফার্স্ট ডান ব্ল্যাক বেল্ট ও শংসাপত্র পেয়েছে। আমরা কলকাতায় পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং সেখানে হাজির ছিলেন জাপানের প্রতিনিধিরা। তারপর জাপানে বিবেচনা করে আমাকে থার্ড ডান ব্ল্যাক বেল্ট ও সিদ্দিক মিয়াকে ফার্স্ট ডান ব্ল্যাক বেল্ট দেওয়া হয়। বীরভূম জেলায় দুইজন থার্ড ডান ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছেন তারাপীঠের অভিজিত লেট এবং দুবরাজপুর ইউথ কর্ণার ক্লাবের ক্যারাটে প্রশিক্ষক অলোক চ্যাটার্জি। অন্যদিকে সুমন শর্মা নামে অভিভাবিকা জানান, আমরা খুব খুশি যে আমাদের দুই ক্যারাটে প্রশিক্ষক এই ব্ল্যাক বেল্ট সম্মান পেয়েছেন। তাই আজ আমরা তাঁদেরকে সংবর্ধনা জানালাম।