পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- বেশ কিছুদিন আগে একটি খবর সম্প্রচারিত হয় যেখানে মাংস ব্যাবসায়ী আইয়ুব খান অভিযোগ করে বলেন চার নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা নুরুল আলম সহ চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মীরা নাকি ব্যবসা করার জন্য তার কাছে টাকা চেয়েছেন। যদিও এই কথা কে মিথ্যা বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্ধমান পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা নুরুল আলম। সেই মর্মেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন চার নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা নুরুল আলম। সাংবাদিক বৈঠকে পৌরপিতা নুরুল আলম বলেন, কিছুদিন আগে দেখেছেন এক মাংস ব্যবসায়ী আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে এবং সেই খবর সম্প্রচারিত হয়েছে বেশ কিছু নিউজ চ্যানেল। এই মাংসের ব্যবসায়ী যেখানে বসে ব্যবসাটা করেন তার পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের একটি স্কুল। তাদের অভিভাবকরা অনেকদিন ধরেই আমার কাছে অভিযোগ করে আসছেন যে মাংস ব্যবসায়িক খোলা ভাবে মাংস কেটে বিক্রি করছেন তাতে শিশু মনের উপর প্রভাব পড়ছে। তারপরই একটি বাচ্চা মেয়ে এই মাংস কাটা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়ে অভিভাবক আমাদের কাছে বারবার অনুরোধ জানান যেন এই মাংস ব্যবসায়ীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা শুধুমাত্র তাকে বলেছিলাম যে তিনি যেন মাংসের দোকানে পর্দা লাগিয়ে কিংবা দোকানের মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে ব্যবসা করেন। কিন্তু তিনি যা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কলকাতা হাইকোর্টের উকিল স্বরাজ ঘোষ বলেন,আইয়ুব খান এই ব্যবসায়ী আমার ক্লায়েন্ট এর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করেছেন তিনি যে অভিযোগগুলো করেছেন সেগুলি হল, আমার ক্লাইন্ট নুরুল আলম তার কাছ থেকে নাকি 25 হাজার টাকা চেয়েছেন ব্যবসা করার জন্য, এছাড়াও তাকে নাকি মারধোর করা হয়েছে, পাশাপাশি তিনি নাকি আমার ক্লায়েন্ট এর বাড়িতে 10 হাজার টাকা দিতে গিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা বলে নাকি আমার ক্লাইন নেন নি। তাই আমরা তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে সেই ব্যবসায়ী আইয়ুব খানকে তার মধ্যে তিনি যদি প্রমাণ না করতে পারেন তিনি যে যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য তাহলে আমরা এই আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সাংবাদিক বৈঠকে এসে এক অভিভাবক বলেন, মাংস কাটা আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে চাইছে না পাশাপাশি অনেকের বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আলম ওরফে সাহেবকে জানিয়েছিলাম মাংসের দোকানটা সরিয়ে দেয়ার জন্য।