সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রুইপুর-হুসেনপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা আরোধরা পদ্দারের স্বামী অলোক পদ্দার।

0
221

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —-মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান”
“মুসলিম তার নয়নমণি,হিন্দু তাহার প্রাণ”-
কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এই দুটি লাইন যেন জীবন্ত হয়ে উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের রুইপুর গ্রামে।বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে দেশের নানা প্রান্তে ঘটতে থাকা ধর্ম-বর্ণ অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন নমুনা।আর ঠিক তখনই
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রুইপুর-হুসেনপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা আরোধরা পদ্দারের স্বামী অলোক পদ্দার।নিয়ম মেনে প্রতিবছরের মত এবছরও শনিবার সন্ধ্যায় কালী মন্দিরে অঞ্জলি দিয়ে
মাথায় ডালা নিয়ে সাত কিলোমিটার পায়ে হেঁটে রাজোল পীরের মাজারে গিয়ে দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় জিয়ারত করলেন অলোকবাবু।তাঁর এই কাজে গর্বিত গ্রামবাসীরা।

জানা যায়,অলোক পদ্দারের দাদুর দানকৃত জমির উপরে গড়ে উঠেছে পীর সৈয়দ সাহা নুরুদ্দিন এর মাজার।এই মাজারকে ঘিরে দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে হয়ে আসছে ঊরুষের মেলা।শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা,চলবে রবিবার পর্যন্ত।দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অলোকবাবু এই প্রথা পালন করে আসছে।এদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসীকে নিয়ে ৭ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মাজারে যায়। এদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শতশত হিন্দু মুসলিম আলোক বাবুকে দুই হাত তুলে আশির্বাদ করেন।