নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। বিশ্বে ১৮ তম, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে দ্বিতীয়বার বিরল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে যমজ পুত্র সন্তান প্রসব শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। জন্ম থেকেই জরায়ু দু’ভাগ, কিন্তু তার মুখ একটাই। সেই দু’ভাগ জরায়ুতে রয়েছে দুটি বাচ্চা, যা চিকিৎসা শাস্ত্রে খুবই কম দেখা যায়। মায়ের সেই টুইন বেবিকে সাফল্যের সঙ্গে অপারেশন করে প্রসব করানো হলো শান্তিপুর হাসপাতালে। এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে এই ধরনের ১৭ টি ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে, ভারতের তিনটি, পশ্চিমবঙ্গে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। বিরল এই অস্ত্রপচার করে শান্তিপুর হাসপাতালকে অনেকটাই এগিয়ে দিলেন বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর পবিত্র বেপারী। জানা গিয়েছে যার এই বিরল অস্ত্রোপচার হল সেই অর্পিতা মন্ডল এর বাড়ি নদীয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহ পুর এলাকায়। তিনি কলকাতায় রাজারহাটের একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন, কিন্তু এত দূর বলে সেখানকার ডাক্তার তাকে কল্যাণী হাসপাতালে দেখতে বলেন, কিন্তু তারা শান্তিপুর হাসপাতালে এসে ডাক্তার পবিত্র বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসক বলেন ভরসা রাখতে পারলে চেষ্টা করবেন। সেই অনুযায়ী ডাক্তার বেপারীর তত্ত্ববাধনে থেকে সোমবার দুপুরে অস্ত্রোপচার করে ডাক্তার পবিত্র বেপারী, অর্পিতার দেহে অস্ত্রপচার করে দুই পুত্র সন্তান প্রসব করান। জানা গিয়েছে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে তিনি এই অস্ত্রপাচার করেন। ডক্টর পবিত্র বেপারী জানিয়েছেন, দুটি বাচ্চা এবং মা সকলেই সুস্থ আছে। স্বভাবতই বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুটি পুত্র সন্তান উপহার পেয়ে খুশি অর্পিতা এবং তার স্বামী জিতেন্দ্র মন্ডল। যদিও শান্তিপুর হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ডাক্তারবাবুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দুই জমজ সন্তানের পিতা যতীন্দ্র মন্ডল। তবে ডাক্তার পবিত্র বেপারী অবশ্য একা একা কৃতিত্ব নিতে রাজি নন, তিনি বলেছেন হাসপাতালে সুপার সহ অ্যানাস্থেসিস্ট পেডিয়াট্রিক বিভাগের চিকিৎসকেরা সকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে কখনোই সম্ভব হতো না। এই সম্মান শুধু শান্তিপুর হাসপাতালের নয় গোটা নদীয়া জেলার তথা এ রাজ্যের চিকিৎসা ক্ষেত্রের। তবে তিনি জানান, বর্তমান পরিকাঠামোতে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এই ধরনের ক্ষেত্রে ব্লাড ব্যাংক এবং অ্যানাস্থেসিস্টদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা বিরল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে যমজ পুত্র সন্তান প্রসব শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।