নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—জীবন্ত মানুষ মৃত একি এ এক অবাক কান্ড। ওরা সকলেই মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এলাকার প্রায় 44 জন ভোটার মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমাও পড়েছে ব্লক প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যেই বুথ লেভেল অফিসার বিষয়টি জানতে পেরে ভোটারদের বিষয়টি জানায়। এলাকার ভোটাররা বিডিও কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিষয়টি বিডিও কে জানায় । এবং অবিলম্বে কে বা কারা এই ষড়যন্ত্রটি করেছে তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও জানান। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন আগে এরকম এক ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো, কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্মশানি এলাকায়। এলাকার ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৪৪ জন ভোটার মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা করেছে ব্লক প্রশাসনের কাছে।। এমনই তথ্য আশাতেই ভোটাররা বিডিও অফিসে বিডিও কাছে দারস্ত হয়েছেন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বিডিও মামুন আক্তার। কে বা কারা অনলাইনে? ভোটার তালিকা থেকে ভোটারদের নাম বাদ বাদ দেওয়ার আবেদন করেছে সে বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় আইনত হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর । শাসক থেকে বিরোধীরা প্রত্যেকেই প্রশাসনের এই ব্যর্থতাকেই তারা কার্যত দায়ী করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রশাসনকে এ বিষয়ে দেখা উচিত।
মালদার কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্মশানি এলাকায় ৭৪ ও ৭৫ নম্বর বুথের ভোটার এরা প্রত্যেকেই। হাতেই রয়েছে নিজেদের ভোটার কার্ড। ঘটনার জানতে পেরেই ইতিমধ্যেই চিন্তিত হয়েছেন এলাকার ৪৪ জন ভোটার। প্রত্যেককে হাতই রয়েছে নিজেদের ভোটার কার্ড। ভোটারদের অভিযোগ তারা বর্তমানে জীবিত তাদেরকে মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিলের আবেদন জমা অনলাইনে ফরম ৭ নম্বর পূরণ করে বাতিলের আর্জি জানিয়েছেন কে বা কারা। অথচ তারা দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছেন। ভোটাররা জানিয়েছেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারা। আজকে দৈনন্দিন নানারকম কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা, কিন্তু তারাই নাকি মৃত। বুথ লেভেল অফিসারের মাধ্যমে খবর জানতে পেয়ে সকলেই দ্বারস্থ হয়েছিলেন কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লক ভিডিওর কাছে।। ভোটারদের অভিযোগ এ বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করুক এবং কারা অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদন করেছেন তাদেরকে খুজে উপযুক্ত আইনত হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এমনই দাবী ভোটারদের ।। শুধু তাই নয় শ্মশানি এলাকায় ৪৪ জন ভোটার যাদের মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে ব্লক প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার পাশাপাশি আরেকটি ঘটনা ভোটার লিস্টে এলাকার পাঁচজন ভোটার যারা জীবিত তাদের মৃত্যু বলে তালিকায় নাম উঠেছে এই ঘটনাও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছেড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যারা আজকে এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ৪৪ জন ভোটার অন্যদিকে পাঁচ জন যারা ভোটার জীবিত অথচ মৃত বলে তাদের ভোটার তালিকার নাম উঠেছে তাদের সকলকে ভোটার তালিকায় সংশোধন করা হোক। যদি এলাকার ভোটাররা ভোট দিতে না পারেন তালে সকল গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর । দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকার ভোটাররা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে । প্রশাসন এর দায়বদ্ধতা নিতে হবে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়ে প্রশাসনকে দেখতে হবে।
রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দ চৌধুরী জানান এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয় । যদি এটা ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে এটা লোকাল ভিডিওদের দেখার দায়িত্ব। কেন লোকাল বিডিও এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিষয়টি দেখেননি। অবিলম্বে এ বিষয়ে না উচিত।