ছেলে ধরা সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সচেতন পুলিশ প্রশাসন।

0
358

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ- গ্রামে গ্রামে ছড়ছে ছেলেধরা আতঙ্ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে হু হু করে কমছে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা, চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা, গুজব বন্ধে কড়া অবস্থানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। উল্লেখ সম্প্রতি দিন কয়েক পূর্বে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লক সহ জেলার সব ব্লকে।দিওয়ড়ের আমরুলবাড়ি এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচয় হিন্দি ভাষী ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধোর করে গ্রামবাসীরা বলে জানাযায়। যার পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ১০ নং মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামে লোকমুখে রটনা রটে যে গ্রামে গ্রামে ঘুরছে ছেলেধরা। মুহুর্তের মধ্যে যে গুজব এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিশেষত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা। যে কারনে পাছে সন্তানের কিছু হয়ে যায় এমন আশঙ্কায় অভিভাবকদের অনেকেই বর্তমানে ভীত হয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। ফলে এহেন গুজবের জেরে প্রাথমিক বিদ্যালয় কমছে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা। এমনকি অভিভাবকদের অনেকেই তাদের ছেলে মেয়েদের আবার স্কুলে পাঠালেও স্কুল ছুটির সময়ের আগেই স্কুল থেকে তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন বাড়িতে। যদিও গ্রামে গ্রামে গুজব রটনার খবর মিলতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কতৃপক্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাসদা জানিয়েছেন তিনি তপন পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে গুজব রটনার কথা শুনেছেন। তিনি বলেন ঐ সমস্ত এলাকাতে সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেব, যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি তপন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও তপন থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শককে জানাব। পাশাপাশি তিনি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন প্রশাসন সতর্ক রয়েছে চিন্তার কোন কারন নেই।

ছেলে ধরা সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । দুর্ঘটনা বশত গনধোলাইয়ের শিকার হচ্ছে অনেকেই । মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি থেকে অপরিচিত মানুষেরা কেউই বাদ যাচ্ছেন । এমন পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের স্কুল পর্যন্ত পাঠাচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে হু হু করে কমছে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা, চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গুজব বন্ধে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বালুরঘাট থানায় । জয়েন্ট বিডিও, বালুরঘাট পৌরসভার চেয়াম্যান সহ পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে । সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির উপায় তুলে ধরেন ডিএসপি সদর সোমনাথ ঝাঁ এবং বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা ।