সদ্যজাতর ওজন বেশি হওয়া সত্বেও জোরপূর্বক নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা, প্রসবের সময় ভেঙে যায় সদ্যজাতর একটি হাত!

0
252

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সদ্যজাতর ওজন বেশি হওয়া সত্বেও জোরপূর্বক নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা, প্রসবের সময় ভেঙে যায় সদ্যজাতর একটি হাত! রক্ত জমাট বেঁধেছে বুকে এবং মাথার পিছন দিকে। ভয়ংকর অভিযোগ হাসপাতালে কর্মরত প্রসূতি চিকিৎসক সবুজ বরণের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের তরফ থেকে। নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনা। জানা যায় প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শান্তিপুর নতুনপাড়া এলাকার প্রসূতি গৃহবধূ উর্মিলা বিবি, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। গত জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখের ভোর বেলায় তিনি বাচ্চা প্রসব করেন। সদ্যোজাত শিশুটি প্রসব করার সময় অতিরিক্ত যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ সদ্যোজাত শিশুর নিয়ম অনুযায়ী ওজন অনেকটাই বেশি ছিল। প্রসবের সময় সমস্যায় পড়েছিলেন চিকিৎসক সবুজ বরণ। সদ্যুজাতক শিশুটি কিছুটা বার করলেও পরবর্তীকালে আর বার হচ্ছিল না অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি তখনই ট্রেনে জোর করে বার করার চেষ্টা করে কয়েকজন নার্স। এরপরে ঘটনাস্থলে আরো একটি ডাক্তার এলে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চাটি প্রসব করানো হয়। পরবর্তীকালে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক সদ্যোজাতর পরিবারকে হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার সদ্যোজাত শিশুটিকে নিয়ে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। বাচ্চাটির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা পরের দিন কলকাতা জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সেখানে বাচ্চাটিকে ভর্তি না নিল তাদেরকে মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পরামর্শদান চিকিৎসকরা। পরেরদিন ই ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। দিন কয়েক আগে বাচ্চাটির রিপোর্টে ধরা পড়ে তার একটি হাত ভেঙে গেছে। শরীরের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে আছে। এর পরেই পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসকদের উদাসীনতার ফলেই তাদের সদযাত্রা শিশুর এই পরিণতি। তারা পশু তুলছেন বাচ্চাটির ওজন বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করে ওই চিকিৎসক। অতিরিক্ত জোর করে বাচ্চাটিকে বের করার চেষ্টার কারণেই শিশুটির আঘাত লাগে। এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস জানান, এখনো কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ এলে তদন্ত করা হবে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা নেতা সোমনাথ কর। তিনি বলেন শুধু শান্তিপুর হাসপাতাল বলে নয় গোটা রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখা দিচ্ছে। এই ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরকে।