কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের গাড়ির উপরে হামলা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পরিষ্কার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করছিল, উত্তেজনার সূত্রপাত হয় যখন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গাড়ি থেকে লাঠি হকিস্টিক নিয়ে তাদের উপরে তাড়া করে এবং তৃণমূল দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। তারপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়াও বেশ কিছু বিজেপি কর্মীদের কাছে বোমা এবং বন্দুক থাকার তথ্য ছবি প্রকাশে এসেছে ইতিমধ্যেই। সবমিলিয়ে জেলা পুলিশের তরফে বিজেপি নেতৃত্ব সহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে দিনহাটার বুড়িরহাটে গন্ডগোলের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ঘনিষ্ঠ দিনহাটা শহর মন্ডল সভাপতি অজয় রায় সহ ২৮ জনের বেশি বিজেপি নেতা কর্মীর নামে মামলা করলো সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। ওই তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপির কোচবিহার জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ন, জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস, জেলা সমপাদিকা দীপা কর্মকার প্রমুখ। পাশাপাশি দিনকয়েক আগে অডিও ভাইরাল কান্ডে ধৃত তপন বর্মন ওরফে হিন্দু ডনের নামও রয়েছে ওই তালিকায়।
সোমবার বুড়িরহাট দাড়িও কার্যালয় সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূল দুই নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি আব্দুল সদ্দার। তিনি প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের মাধ্যমে কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সিবিআই থেকে শুরু করে যেকোনো উচ্চপর্যয়ের তদন্ত তিনি করতে পারেন সত্য উদঘাটন করুক তিনি। এখনো পর্যন্ত যা তথ্য প্রমান রয়েছে তা সম্পূর্ণটাই বিজেপির বিরুদ্ধে। ইচ্ছাকৃতভাবে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে উত্তপ্ত করার যে চক্রান্ত বিজেপি করেছিল তার সম্পূর্ণ তদন্ত দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরো বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুনরায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হবে কোচবিহারে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।