বাঁকুড়া কংসাবতী নদীর পাড়ে লক্ষাদিক টাকার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠল তৃণমূল তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে ।

0
112

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার খাতড়া ব্লকের অন্তর্গত বনকাটি গ্রাম বাসিন্দাদের দাবি গোড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের বনকাটি মৌজার কংসাবতী নদীর পাড়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকাধীন মিলিয়ে বেশ কিছু এলাকায় জুড়ে সরকারি উদ্যোগে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছিল ওই এলাকায় আকাশমনি সোনাঝুরি বাবলা সহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছিল সেই গাছ বিক্রির অভিযোগ খাতরা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মহাপাত্রের বিরুদ্ধে ও তার অনুগামীদের তাই এলাকার মানুষের অভিযোগ সরকারি গাছ কিভাবে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন এই গাছ কিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে যেখানে এসব গাছ নদীভাগান রোদে লাগানো হয়েছিল তাহলে এই কাজগুলিকে কেটে বিক্রি করে দেয়া হলে ভাঙ্গনের আশঙ্কা তৈরি হবে। এই অবৈধ কাজের প্রশাসনের একাংশের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা এই বিষয়টি পজাসনিক বিভিন্ন স্তরে জানালেও কোন কাজ হয়নি এমনই দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের
যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তিনি এও বলেন যে বিরোধীরা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে আমাকে বা আমার দলকে সরকারিভাবে গাছ লাগানো হয়েছে গ্রামের ষোল আনার বিষয় এখানে আমার কিছু বলার নেই।

যদিও জেলা পরিষদের সভাধি প্রতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন এই বিষয়ে দল বা ব্লগ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই গাছ কাটার বিষয়ে যাদের জমি তারায় নিশ্চয়ই কোন আলোচনা করে করেছেন আমি যতটুকু জানি গাছগুলো হয়েছে ভালোই হয়েছে তবে গাছগুলো কিছুদিন ধরে চুরি হয়ে যাচ্ছিল সেই কারণে মালিকরা যদি কিছু ভাবনা চিন্তা করেছে করে থাকতে পারে

যদিও এই বিষয় নিয়ে বাঁকুড়া বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনিরুদ্ধ মন্ডল বলেন সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে এই গাছ কেটে নির্বাচনের কাজে লাগাবেন সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার গাছ কিভাবে কেটে লুট করতে পারে আগামী দিন আমরাই বিষয়ে আন্দোলনে নামবো

খাতড়া ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার সীতারাম দাস বলেন গাছগুলি কাটার বিষয়ে বনদপ্তরের কাছে কোন পারমিশন নেওয়া হয়নি। আমার কাছে একটি অভিযোগ হয়েছে আমি বিষয়টাকে নিয়ে বি এল আর ওকে নিয়ে ওই এলাকায় যাব খতিয়ে দেখব।