নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জ্যোতিষশাস্ত্রকে উচ্চশিক্ষার পাঠক্রম থেকে বাতিলের দাবিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষায় অপবিজ্ঞানকে প্রমোট করার বিরুদ্ধে, চিটিংবাজ ও অপবিজ্ঞান শাস্ত্র জ্যোতিষশাস্ত্রকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে, চিকিৎসার সাথে জ্যোতিষকে জুড়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আজ সারা নবদ্বীপ জুড়ে জ্যোতিষ বিরোধী প্রচার অভিযান চালালো ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র নবদ্বীপ শাখা। সাথে চললো লিফলেট বিলি, পোস্টারিং এবং নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পথসভা। সকাল দশটা থেকে প্রতাপনগর বাজার থেকে শুরু হয়েছে এই প্রচারাভিযান। জ্যোতিষ বিরোধী প্রচারাভিযানে শ্লোগান তোলা হয় — জ্যোতিষ তাড়ান পকেট বাঁচান / ভণ্ডামির অপর নাম জ্যোতিষ / শিক্ষালয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রকে মান্যতা দেওয়া হলো কেন কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও / চিকিৎসার সাথে জ্যোতিষশাস্ত্রকে জুড়ে দেওয়া হলো কেন মোদি সরকার জবাব / রাজ্যে জ্যোতিষীদের চিটিংবাজী ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে কেন রাজ্য সরকার জবাব দাও ইত্যাদি।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ” প্রফেশন ট্যাক্স বিষয়ক আইন ১৯৭৯ এর সেকশন O (2) তে আইন-সম্মত পেশার তালিকায় জ্যোতিষ পেশার নাম নেই। কারণ জ্যোতিষ পেশা বে-আইনি।
দ্য ড্রাগস্ এ্যাণ্ড ম্যাজিক রেমিডিস ( অবজেকশনাবল্ এ্যাডভারটাইজমেন্ট ) এ্যাক্ট ১৯৫৪ অনুযায়ী, যদি কেউ মন্ত্র-তন্ত্র, দোয়া-তাবিজ, কবচ-মাদুলি বা কোন প্রলোভনের সাহাযে মানুষের রোগ সারানোর দাবি করে বা দাবিসহ বিজ্ঞাপন দেয় তবে তিনি আইনের চোখে অপরাধী। জ্যোতিষীরাও এই অপরাধে অপরাধী। ” প্রতাপবাবু আরও বলেন, ” বিজেপি সরকার শিক্ষায় এবং চিকিৎসায় অপবিজ্ঞান ও চিটিংবাজ শাস্ত্র জ্যোতিষকে অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞান বিরোধী এবং মামবতা বিরোধের কাজ করেছে। দেশের জনগণকে অজ্ঞানতার অন্ধকারে রেখে এবং জ্যোতিষী চিকিৎসা দিয়ে মানুষকে পঙ্গু করে রাখতে চাইছে মোদি সরকার। এর বিরুদ্ধে দিকে দিকে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। “
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্য প্রবীর ব্যানার্জি বলেন,” সরকার জ্যোতিষ শাস্ত্রকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞান বিরোধী, মানবতা বিরোধী কাজ করেছে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়তে সমস্ত সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। আমরা সারা বাংলা জুড়ে জ্যোতিষ বিরোধী প্রচার চালাবো।”