ডুমুইর থেকে শালগ্রাম পর্যন্ত কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে।

0
171

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আর মাত্র কিছুদিন বাকি গ্রাম্য মানুষজন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের আঞ্চলিক প্রশাসন নির্বাচন করবেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার রাও। এই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ডুমুইর এলাকাবাসিরাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে কিন্তু রাস্তা ও জল নিয়ে তারা যে বঞ্চনার শিকার সেই বঞ্চনা থেকে তারা মুক্তি পাবে কিনা কেউ বলতে পারছে না। উল্লেখ থাকে যে ডুমুইর থেকে শালগ্রাম পর্যন্ত কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। যার ফলস্বরূপ এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, অসহায় রোগী,গর্ভবতী মহিলা সাধারণ মানুষ সকলেকেই সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যার সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ এগিয়ে আসে না কেউই।২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন পূর্ত মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর হাত ধরে এই দীর্ঘ রাস্তাটি শেষবারের মতো সংস্কার হয়েছিল।বহু বছর কেটে যাওয়ার পর রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন থাকলেও তারপর থেকে এই রাস্তা সংস্কারে কাজে এগিয়ে আসেনি কেউ। পাশাপাশি এলাকার পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে পঞ্চায়েত কে বলার পরেও না না অজুহাতে পঞ্চায়েত বিষয়টি এড়িয়ে যায়।শাসক আসে শাসক যায়। শাসন ক্ষমতা বদলায় বদলায় না ডুমুইর এলাকার মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি জেলা পরিষদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান থাকা সত্ত্বেও তিনি বিধায়ক ও সাংসদ কোটা থেকে রাস্তাটি করবে আর কোনই উদ্যোগ নিচ্ছেন না বিরোধী দলনেতার। তৃণমূল এই পঞ্চায়েত দখল করলে তাদের তরফে এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বিরোধী নেতা জানিয়েছেন। পানীয় জলের বিষয়টিও প্রধান বিভিন্ন জায়গা না পাওয়ার অছিলায় এড়িয়ে যান। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ভোটের আগে এই এলাকার মানুষজন বঞ্চনা থেকে মুক্তি পান কিনা সেটাই দেখার বিষয়। পাশাপাশি এটাও দেখার বিষয় বঞ্চনার জর্জরিত এই এলাকার মানুষ তাদের শাসন আর কোন দলের হাতে তুলে দেন ।