নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জলের পাশেই পড়ে রয়েছে কিশোরীর মৃতদেহ! দোল উৎসবের পরের দিন সাত সকালে ওই মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রহস্য। খুন, ধর্ষণ নাকি অন্য কোনো কারণ তদন্তে পুলিশ। নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার ষষ্টিতলা বারোয়ারি খেয়া সারদা ঘাটের ঘটনা। সূত্রের খবর প্রতিদিনের মতোই এলাকাবাসী ও এলাকায় কেউ স্নান করতে যায় আবার কেউ পাত ভ্রমনে যায়। ঠিক তখনই স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে জলের পাশে পড়ে রয়েছে একটি মৃতদেহ। ওই মৃতদেহটি কাছে যেতেই দেখে কোন এক কিশোরীর মৃতদেহ। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ভিড় জমান বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের তরফ থেকেই খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্তলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ওই মৃতদেহটি হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা তুলসী প্রামানিক বলেন, প্রতিদিনের মতোই এসে দেখতে পায় ওই কিশোরীর মৃতদেহটি পড়ে রয়েছে। তবে ওই কিশোরীর পরিচয় এখনো জানতে পারা যায়নি বলে জানান তিনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুলবুল সরকার বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি ওই কিশোরীর মৃত দেহ জলের পাশে পড়ে রয়েছে। এরপরেই স্থানীয় থানায় খবরটি পুলিশ এসে মৃতদেহটি নিয়ে যায়। তবে এখনো পর্যন্ত ওই নাবালিকার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ তদন্ত করে দেখার পরেই পরিচয় জানা যাবে। তবে কোথা থেকে এলো ওই মৃতদেহটি কি তার পরিচয় এখনো জানা না যাওয়াই বাড়ছে রহস্য। তার কারণ গতকাল গেছে দোল উৎসব। সেই কারণেই সন্দেহ আরো বাড়ছে ওই নাবালিকার আত্মঘাতী হয়েছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে ওই নাবালিকার পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই নাবালিকা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে এলে ই বোঝা যাবে ওই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে নাকি আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। তবে সাত সকালে এমন কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ওই এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।