পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির পরের দিন ফাঁকা মাঠে একের পর এক তাজা বোমা উদ্ধার।

0
130

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির পরের দিন ফাঁকা মাঠে একের পর এক তাজা বোমা উদ্ধার। বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করল বোম স্কোয়াডের প্রতিনিধিরা। আতঙ্কে এলাকাবাস। নদীয়ার কালিগঞ্জ থানার মলান্দী এলাকার ঘটনা। উল্লেখ্য, দুই দিন আগে জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কালীগঞ্জের মলান্দি এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সন্ধ্যা গড়াতেই সেই ঝামেলার অন্য রূপ ধারণ করে। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালীগঞ্জ থানার আধিকারিক সৌরভ ভট্টাচার্য। এরপরেই অভিযুক্তরা সৌরভ ভট্টাচার্য গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। বৌমার আঘাতে যখন কালীগঞ্জ থানার আধিকারিকসহ আরও তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রাথমিকভাবে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ হাসপাতাল পড়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলার শীর্ষ প্রশাসনের অধিকর্তারা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার পরের দিন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মলন্দী এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে তল্লাশি শুরু করে। এরপরই গমের জমি সহ একাধিক জমি থেকে কৌটো দেখতে পাই পুলিশ। সেই কৌটা খুলে দেখে একাধিক তাজা মজুদ রয়েছে। খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডের প্রতিনিধিদের। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা গুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফাঁকা মাঠ থেকে একের পর এক তাজা বোমা উদ্ধার হওয়ায় শুরু হয়েছে চাপা উত্তেজনা। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সাবির আলী শেখ জানান, যেহেতু আমরা ফাঁকা মাঠে কাজ করতে চাই সে কারণে একের পর এক তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত যারা এই তাজা বোমা গুলো রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে এ বিষয়ে সিপিএমকেই দায়ী করেছেন কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে বোমাবাজির ঘটনায় প্রায় 100 জন সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফ আই এর দায়ের হয়। এবং তারা ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন না নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। দিন কয়েক আগে রাতের বেলায় পুলিশ তাদের ধরতে গেলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে সিপিএম কর্মীরা। শুধু তাই নয় সাগর দিঘিতে জয়লাভের পর সিপিএম কর্মীরা এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ বিধায়কের। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করার কথা বলা হয়েছে।