পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।

0
140

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা;;১১মার্চ: কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি। উপস্থিত নেতৃত্বের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল। তীব্র কটাক্ষ বিজেপির।পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত থানা পাড়া বুথে শুক্রবার রাতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল।উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে দুইজনের নাম।একজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাস এবং অপরজন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাস। কিন্তু এই দুটি নাম উঠে আসতেই বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষ দাবি করে প্রার্থী হিসেবে বাসন্তী দাস ছাড়া অন্য নাম যাবে না। এই নিয়ে তারা নেতৃত্ব কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় নেতৃত্বের সামনে ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। পরবর্তীতে উপস্থিত নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে পরিস্থিতি।এদিকে সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই ফের অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সামনে এসে পড়েছে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির দাবি কাটমানির বিনিময়ে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক হয়। সাথে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল একটা জায়গাতেও জিততে পারবে না।হরিশ্চন্দ্রপুর সদর বিজেপির ঘাঁটি। যদিও তৃণমূলের দাবি কোন ধাক্কাধাক্কি হয়নি। দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে।হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন একটা বুথেই আমাদের হাজারের বেশি কর্মী এসেছে বৈঠকে। এখানে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারবে না। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।