বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, বিষন্ন মুখে ফেরত গেলো ক্ষুদে পড়ুয়ারা, অভিভাবকদের বিক্ষোভ, শিক্ষক মহলের একাংশের নিন্দার ঝড়।

0
117

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সরকারি সংগঠনদের ধর্মঘটকে সমর্থন করে নদীয়ার শান্তিপুরের বেড়পাড়া মুসলিম প্রাথমিক বিদ্যালয় আগাম না জানিয়ে হঠাৎ করেই শিক্ষক শিক্ষিকারা বন্ধ করে দেওয়ায়, যথেষ্ট ফাঁপরে পড়ে গেলেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানান তারা প্রধান শিক্ষিকার যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন আজ বিদ্যালয় ছুটি ।
স্কুলের পাশেই বাড়ি। শান্তিপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্নিগ্ধা ব্যানার্জির। তার বক্তব্য, ‘আজকে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তাদের অভিভাবক স্কুলে এসেছিলেন। অথচ তারা দেখলেন স্কুল বন্ধ। বাধ্য হয়েই অনেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। পাশের স্কুলের একজন শিক্ষক এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করেছিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বন্ধকে তারা সমর্থন করেছেন। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি উপর মহল কে জানিয়েছি।’ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলহারা বেগম জানিয়েছেন,’আমার আমার মেয়ে ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তাকে স্কুলে নিয়ে এসে দেখলাম, স্কুল বন্ধ। বিষয়টা খুবই খারাপ লাগছে। বাচ্চাকে বাড়ি ফিরে নিয়ে যেতে হয়েছে।’শান্তিপুর তন্তুবাই সংঘ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মানস দে জানিয়েছেন,’আমিও একজন স্কুলের শিক্ষক। নিজেদের দাবি দেওয়ার ভিত্তিতে কেউ ধর্মঘট ডাকতেই পারেন কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়ে নয়। এতে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়। তাছাড়া বকেয়া ডি এর দাবিটা এখনো বিচারাধীন বিষয়। তার জন্য আন্দোলন করে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।’অন্যান্য অভিভাবকদের মতোই মহিউদ্দিন বিশ্বাসের একই বক্তব্য। তিনিও জানিয়েছেন,’তার বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসে তাকে ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে।’
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরূপ রতন দাস জানান, বিক্ষিপ্ত ভাবে তিন চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা তিনি শুনেছেন, ইতিমধ্যে তার প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন অনুসন্ধান করতে, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তাদের তালিকা বিভাগীয় উচ্চ মহলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ক্যাজুয়াল লিভ নেওয়া বন্ধ ছিলো আজ।