পঁঞ্চাশ শতাংশ প্রতিবন্দী,সারা ভারতের মিষ্টার ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্চ।

0
236

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মাত্র চার ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতা,পঁঞ্চাশ শতাংশ প্রতিবন্দী সারা ভারত দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান দখল করে ব্রোঞ্চ জিতে নেয়।নদিয়ার গাংনাপুর থানার গোপিনগর বেলে হাটি গ্রামের ছাব্বিশ বছরের যুবক ভাষ্কর বিশ্বাস।টাকার অভাবে বিএ পড়াটাও শেষ করতে পারিনি। ছোট বেলা থেকে অভাব অনটনের সংসার গত ২০১৯ সালে বাবা কে হারায়।মা কুমকুম বিশ্বাস এবং ভাষ্কর এই দুজনের সংসার।ভাষ্কর নিজে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে কোন মতে সংসার চলে।অদম‍্য জেদ ও মানসিকতায় ভাষ্কর কে সারা ভারতের মানুষ চেনে।গত চৌঠা মার্চ ও পাঁচই মার্চ মধ‍্যপ্রদেশে রাতালামে অনুষ্ঠানিত ভারতীয় বডি বিল্ডারর্স ফেডারেশন আয়োজিত মিষ্টার ইন্ডিয়া বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অনুর্ধ্ব ষাট কেজি বিভাগে সারা ভারত থেকে আসা পঁচিশ জন প্রতিযোগিদের পিছনে ফেলে নজির গরলেন নদিয়ার গাংনাপুরে ভাষ্কর বিশ্বাস।দেহ সৌষ্ঠব প্রতিদিন এক ঘন্টা প্র‍্যাক্টিস করে।ঠিক মতোন যে খ‍াদ‍্যের প্রয়োজন সেই খাদ‍্য যোগার করতেই হিমসিম খেয়ে যান।নুন আনতে পান্তা ফুরায় এই ঘরে দেহ সৌষ্ঠব বা বডি বিল্ডিং করা টা সাজে না বললেই চলে।গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত প্র‍্যাক্টিস করে চলেছে।মা কুমকুম দেবী ছেলে কে উৎসাহ ছাড়া দেবার কিছু নেই। চাকদহে এক মাত্র কোচ বা দাদা শুভেন্দু কর্মকার পাশে না দাঁড়াতো।আজ শুভেন্দু বাবু খুব আনন্দিত। বেঙ্গলে দুই বার পজিশন পেয়েছে।জেলায় সর্বসাধারণে জন‍্য প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে।আমার কোচিং জীবন সার্থক।তবে একটাই দুঃখ চাকদহ বা গাংনাপুরে কেউ তাকে সংবর্ধনা দিতে আসেনি।দেহসৌষ্ঠবে সরকার যদি একটা চাকরি দিতো তবে সংসার টা চলতো এবং নিয়মিত খাবার ও প্র‍্যাক্টিস টা করতে পারতো।