পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- দীর্ঘদিন ধরে বর্ধমান পৌরসভার তৎপরতায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার উপর জোর দেয়া হয়েছে। এমনকি পৌরসভার বাজেট পেশে সাংবাদিক বৈঠকে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার জোর দিয়েছিলেন কোথাও বেআইনি নির্মাণ করা হলে তৎক্ষণাৎ তৎপর হবে বর্ধমান পৌরসভা। সেই মর্মেই আজ বর্ধমান পৌরসভার বীরহাতটা অফিসার্স কলোনী কালী মন্দির এলাকায় বর্ধমান পৌরসভা এবং হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হল দোকান। শুক্রবার দিন বর্ধমান পৌরসভার তরফ থেকে নোটিশ করা হয় দোকানগুলিকে এবং জানানো হয় সোমবার এই দোকানগুলি পৌরসভার তরফ থেকে ভেঙে দেওয়া হবে। তারপরে আজ বিরহাটা অফিসার্স কলোনী কালী মন্দির সংলগ্ন দোকানে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বর্ধমান থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙ্গা হয় দোকানগুলিকে। যদিও দোকানদাররা বলেন সমস্ত টাই পৌরসভা তার নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। বহু কষ্ট করে তারা এই দোকানগুলি এখানে করছে এবং এই দোকানগুলি করেই তাদের সংসার চলে। দোকান চালাতে গিয়ে নিয়েছেন বড় অংকের লোন। এই দোকান ভাঙাতে তারা এখন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত। স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিস মোহন্ত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দোকানগুলি এখানে আছে। পরেশ চন্দ্র সরকার যখন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তখন তিনি দোকানগুলি করতে দিয়েছিলেন। এখন তিনি বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান। তাহলে এখন প্রশ্ন হল এমন কি হলো যে তিনি নিজেই করতে বলেন এবং নিজেই এখন ভাঙছেন। যারা এই দোকানগুলি করেছে তারা খুব গরিব মানুষ এই করেই তারা তাদের সংসার চলে। মহিলা দোকানদার বলেন, এখানেই তিন-চারটি দোকান আছে তার মধ্যে আমার দোকান টাও ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। পরেশবাবু ইচ্ছাকৃত এই জিনিসটি করলেন আমাদের আজকে পথে বসিয়ে দিলেন। অনেক ধার দেনা করে আমরা এই দোকানগুলি চালাতাম। এখন কি করবো সেটাই সবথেকে বড় চিন্তা।