আন্তর্জাতিক নদীকৃত‍্য দিবসে পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ‘দিশারী সংকল্প ‘-এর পক্ষে আত্রেয়ী নদী সমীক্ষার বিশেষ অনুষ্ঠান।

0
266

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আজ ইন্টারন‍্যাশনাল ডে অফ অ‍্যাকশন ফর রিভার্স বা আন্তর্জাতিক নদীকৃত‍্য দিবসে পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ‘দিশারী সংকল্প ‘-এর পক্ষে আত্রেয়ী নদী সমীক্ষার প্রথম দিনে প্রথম পর্বে আত্রেয়ী নদী
কালিকাপুর ঘাট থেকে আত্রেয়ী সদর ঘাট পর্যন্ত এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বিজন সরকার, তুহিন শুভ্র মন্ডল, ত্রিদীব সরকার।
পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন
কালিকাপুর ঘাট থেকে আত্রেয়ী সদর ঘাটে বালি উত্তোলন করে নৌকা বোঝাই করা হচ্ছে প্রশাসন কে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে। এই অংশে নদী কখনও বাম দিকে ( পূর্ব দিকে), কখনও মাঝখান দিয়ে, আবার কখনও ডান দিক ( পশ্চিম দিকে ) প্রবাহিত হচ্ছে। কালিকাপুর ঘাট পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, মধুবাগান ঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে ব‍্যাপক পরিমানে নদীর পাড়ে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে। যা নদীর জলে গিয়েই মিশবে। এই অঞ্চলে আগে পৌরসভার আবর্জনা সংগ্রহকারী গাড়ি আসতো এখন আসেনা। মানুষ তাই নদীর ধারে ফেলে বলে অভিযোগ। এছাড়াও শহরের নার্সিং হোম, ল‍্যাব গুলির বিভিন্ন প্রকার বর্জ‍্য এখানে ফেলা হয়। চকভবানী শ্মশানের আগে নদীটির বাম তীরের অংশ মাঠে পরিণত হয়েছে।নদীতে যেখানে সেখানে চরের পরিমাণ বাড়ছে।
চকভবানী শ্মশানের কাছে চেক ড‍্যাম নির্মাণ এলাকায় নদীর জলকে অল্প একটু জায়গা দিয়ে যাওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় পুরো অংশেই নির্মাণ কার্য চলছে। আমরা আশঙ্কা করছি নদীকে এইভাবে বাঁধলে নদীর ক্ষতি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্ষতি।
আত্রেয়ী নদী ক্রমশ: ভাঙন প্রবণ হয়ে যাচ্ছে।
মাতৃসদন ঘাটে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে নদী গর্ভে গর্ত হয়ে আছে।
আত্রেয়ী সদর ঘাট কয়েকদিন আগে পরিষ্কার করা হলেও, কম হলেও এখনও দূষণের ছবি পরিষ্কার।
কালিকাপুর ঘাট থেকেব আত্রেয়ী সদরঘাট অবধি শহরের নদীমুখী নিকাশী নালা গুলোর দ্বারা তরল বর্জ‍্য জলে মেশার উদাহরণ আছে।
তরল বর্জ‍্য শোধন করে নদীর জলে ফেলতে হবে।
এই সব বিষয় নিয়ে বালুররঘাট পৌরসভা ও বালুরঘাট মহকুমা শাষকের কাছে লিখিত অভিযোগ ও তা সংস্কারের দাবি জানান হবে বলে জানান দিশারি সংকল্পের পক্ষ থেকে।