কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ববি হাকিম।
পার্থ কি দলের সঙ্গে আছেন?
এ নিয়ে কিছু বলব না। ওই ঘটনার পর পার্টি তো আর কোনো মিটিংয়ে বসেনি। পরে দেখা যাবে। শুক্রবার বৈঠক আছে। আমরা দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। সততার প্রতীক মমতা ব্যানার্জি । চাঁদে দাগ থাকতে পারে, মমতা ব্যানার্জি কোনো অন্যায় করতে পারেন না। কাউকে বিশ্বাস করা অন্যায় নয়। কাউকে বিশ্বাস করে যদি কেউ ঠকে যায়, তাহলে সেটা হয়তো ভুল নয়। এতো বড় দল বিশ্বাস ছাড়া চালানো যায়না। আমরা আজীবন মমতার সঙ্গে আছি।
নিয়োগ দুর্নীতি
ইডির দাবি সাড়ে তিনশো কোটির দুর্নীতি। টাকা নিয়ে চাকরি এখনও কোর্টে প্রমাণ হয়নি। কিন্তু এটা সত্যিই আমাদের সবার কাছে লজ্জার। যতক্ষণ চার্জশিট হচ্ছে, ততক্ষণ মিডিয়া ট্রায়াল করে লাভ নেই। সত্যি বলতে কি, এই পার্থ দাকে আমি চিনি না। এই পার্থ দা আমার কাছে নতুন। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি কেউ টাকা নিয়ে চাকরি দেবে। আমি তো অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। আমরা চাই পার্টির ছেলেদের চাকরি হোক। বেকার ছেলেদের চাকরি হোক। কিন্তু অন্যের চাকরি কেড়ে নিয়ে নয়।
রাজ্যে রাষ্ট্রবাদ শুভেন্দূর
এগুলো বেকারের কথা। এ রাজ্য কনোদিন কাশ্মীর হবে না। এ রাজ্য দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ । সকল রাজ্যবাসী ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। বিভেদ সৃষ্টি করে ফাইল ফাইল বলে চেঁচিয়ে লাভ হবেনা। যারা এগুলো বলে, তাদের মনের মধ্যে বিভেদ আছে।
বায়রন ইস্যু
বাযরনের সঙ্গে আমার আলাপ আছে। ভালো ছেলে। এর বেশি কিছু বলব না।
শওকত বনাম কাইজার
একটা লেভেল থাকবে তো। এরপর তো আমার পাড়ায় এর সঙ্গে ওর কি হল, তা নিয়ে চর্চা হবে। শওকত ভাঙড় দেখছে। আমরা সবাই এক থাকতে চাই। ভাঙড়ে একটা অন্যায় হয়েছে। যেটা হয়েছে সেটা কাম্য নয়। শওকত দক্ষ সংগঠক। উনি যদি আরাবুল সহ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলে, তাহলে লাভবান হবে। ভাঙড় আমাদের কাছে দুর্গ। ওখানকার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে এককাট্টা দেখতে চায়। আমাকে যদি দল বলে, আমি যাবো।
শাসক দলের দুর্নীতি
দলের না। কোনো ব্যক্তি বিশেষের দুর্নীতি বলুন। সেটা পাপ। মানুষ আমাদের অধিকার দিয়েছে। আমরা মানুষের কেয়ারটেকার। আমরা ল্যান্ড লর্ড নই।
ডিএ ইস্যু
আমি আর কিছু বলব না। আমার কথা গুলো কে বিকৃত করা হচ্ছে। আমি সব সরকারি কর্মচারির পাশে। তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি আছে। এইসব বোমা ফাটা, উড়িয়ে দেওয়া, আমি এসবে বিশ্বাস করিনা। আমি গাঁধীবাদী লোক। আমার চেহারা দেখে ডন মনে হয়। কিন্তু আমি এক গালে চড় খেলে আরেকটা গাল বাড়িয়ে দি। আমার নাম ফিরহাদ। তাই বিজেপির ভাইরা আমাকে নিয়ে অনেক গল্প বানায়। তার ওপর আমি আবার পোর্ট এলাকার লোক। সবাই গুন্ডা না।