নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহারঃ রক্তিম যাত্রা শব্দটা শুনতে একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে তাই না কিন্তু এটাই করে দেখালো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন। ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন বিগত ছয় বছর থেকে মুমূর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে দিবারাত্র পরিষেবা প্রদান করেছে। ইতিমধ্যেই তারা আটাশ হাজার ইউনিট রক্ত মুমূর্ষ রোগীর প্রয়োজনে তাদের পরিবারে হাতে তুলে দিয়েছে। রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে তাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে সহযোগিতা করে থাকে। এবারে তারা ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনা নিয়ে শুরু করেছে রক্তিম যাত্রা। স্বর্গীয় সুবলচন্দ্র বৈদ্যের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তারা কোচবিহার থেকে একটি বাইক র্যালির মাধ্যমে রক্তিম যাত্রার শুভ সূচনা করে । এই রক্তিম যাত্রার গন্তব্যস্থল দার্জিলিং পর্যন্ত। এই রক্তিম যাত্রা চলাকালীন দেখা গেছে সংগঠনের যে সমস্ত সদস্যরা এই রক্তিম যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে তারা যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে এবং রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা প্রচার অভিযান চালাতে।
পর্যায়ক্রমে এই বাইক রক্তিম যাত্রা উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা ধুপগুড়ি জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি এইসব জায়গায় পথ চলতি মানুষদের মধ্যে লিফলেট দিয়ে এবং হ্যান্ড মাইক এর মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করছে। এ রক্তিম যাত্রা দার্জিলিং পৌছাবার পর দার্জিলিং ব্লাড ব্যাংকে একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলেও জানা গেছে। এই রক্তিম যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে সংগঠনের কোর কমিটির সম্পাদক রাজাবৈদ্য এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সংগঠনের সম্পাদক রাজা বৈদ্য জানান আমরা সারা বছর ধরেই মুমূর্ষ রোগীর প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা করে থাকি কিন্তু এই রক্তিম যাত্রার প্রধান উদ্দেশ্য থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গোটা উত্তরবঙ্গ কে এক সূত্রে বাঁধা।
রক্তিম যাত্রায় অংশগ্রহণ করে উত্তরবঙ্গের মোট ১৬ জন সদস্য এবং সদস্যরা।
আজ দার্জিলিং ব্লাড ব্যাংকে কিছু সদস্যরা রক্তদান করেন এবং এই যাত্রার সমাপ্ত ঘটে।