বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় মারধর শিক্ষককে,মৃত্যু শিক্ষকের,রাস্তা অবরোধ ও অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর আদিবাসী সংগঠনের,উত্তেজনা ডেবরায়।

0
290

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রতিবাদ! সেনা জওয়ান বাবার তথা শিক্ষকের মৃত্যুতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ভারত মাঝি জাকাত মাঝি পরগনা মহলের, অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর সহ আগুন লাগিয়ে দিল আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা, বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এলাকার শিক্ষক এবং সেনা জওয়ানের বাবা আর তাতেই অভিযুক্ত যুবকদের মারে মৃত্যু ঘটলো তার আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ানো পশ্চিম মেদিনীপুরে।মূলত বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রতিবাদ করে প্রাণ দিতে হয়েছে এই সেনা জওয়ানের বাবাকে। আর এরই প্রতিবাদে ডেবরায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যদের। কয়েক ঘন্টা অবরোধে অবরুদ্ধ হয়ে থাকলো এই জাতীয় সড়ক।
প্রসঙ্গ ক্রমে বলা যায় এই সেনা জওয়ানের বাবা লক্ষীকান্ত টুডু গত ১৩ই মার্চ বিকাল সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতেই বসে থাকার সময় কয়েকজন বাইক চালকের বাইকের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং তিনি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপরই সেই অভিযুক্ত বাইক চালকরা তার বাড়িতে আসে এবং বচসা হয়। তারা মারধর করে ওই শিক্ষক কে।এরপরই তাকে প্রথমে ডেবরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র,পরে মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপরও বাঁচানো যায়নি প্রতিবাদীকে। গত ১৪ই মার্চ সন্ধ্যে নাগাদ মারা যায় এই শিক্ষক তথা সেনা জওয়ানের বাবা। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।অভিযুক্তদের ঘর ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এলাকার মানুষ। তবে আদিবাসী পরগনা মহল থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তারই রেশ হিসেবে এই দিন ডেবরার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে দেয় তারা। যদিও এ ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।তড়িঘড়ি তারা অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করে এবং আর এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা বা কি কি কারণে ঘটনা ঘটেছিল তা সে বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখছে পুলিশ,আন্দোলনকারীদের দাবি,অবিলম্বে সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ঘটনায় জড়িতদের। শুনেছি এই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে তবে আমরা চাইবো যত জন দোষী ছিল সবাইকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে অভিযুক্তদের। না হলে আমাদের আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আক্রান্ত শিক্ষক লক্ষীরাম টুডুর। বুধবার সকালে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় মৃতের। সূত্রের খবর, আক্রান্তের ছেলে রাজিব টুডু জয়সালমারে সেনা জওয়ান হিসেবে কর্মরত। চলতি মাসের ১২ তারিখ ৩১ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল সে। পাশের গ্রামে সে যখন বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল ঠিক সেই সময় ঘটে এই ঘটনা।এই ঘটনা ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনায় এলাকায়, ইতিমধ্যেই আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা ওইসব অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর সহ আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, রয়েছে চাপা উত্তেজনা।