নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের রাধানগর গ্রাম গ্রামের পাশেই রয়েছে মস্ত বড় একটি পিএইচই জলের ট্যাঙ্ক। রাজ্যে সরকারের তত্ত্বাবধানে রাধানগর রায় পাড়ায় প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি রয়েছে পানীয় জলের ট্যাপ কল। অথচ গ্রামবাসীরা জল কষ্টে ভুগছেন দিনের পর দিন। আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তার ওপর সামনেই রয়েছে গ্রীষ্মকাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঘরে ঘরে ট্যাপ কল লাগানোর পর ২০ থেকে ৩০ দিন পানীয় জল পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে দীর্ঘ প্রায় এক দেড় বছর হয়ে গেল পানীয় জলের একবিন্দুও পড়েনি ট্যাপ কল দিয়ে। গ্রামের মাঝে রয়েছে একটি সিলিন্ডার কল এখন অগত্যার গতি প্রায় একশটি পরিবারের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে ওই সিলিন্ডার কল। ওই সিলিন্ডার কল নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাম জুড়ে পানীয় জলের আতঙ্ক পরিবেশ তৈরি হয়। গ্রামের দু একটা বাড়িতে রয়েছে নিজস্ব সাবমারসিবল সেখানেই লোকের মুখ ঝামটা শুনে প্রাণ বাঁচানোর জন্য একটু জল সংগ্রহ করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের আরো দাবি ভোট আসে ভোট যায়। ভোটের আগে রাজনৈতিক দাদা দিদিরা আসে ভোট চাইতে। প্রতিশ্রুতিও মেলে ভুরি ভুরি কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে আর সন্ধান পাওয়া যায় না দাদা দিদিদের। এমনকি দিদি দূতদেরও দেখা পাওয়া যায়নি গ্রামে। স্থানীয় পঞ্চায়েতেও দ্বারস্থ হয়ে কোন সুরাহা মেলেনি। ফলে সামনে গ্রীষ্মকালের আগে জলকষ্টে আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুচিত্রা সমাদ্দার গ্রামের জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন কিছু কিছু মানুষ জল পাচ্ছে। কিছু কিছু মানুষ জল পাচ্ছে না। তাদের জন্য আমরা জলের ব্যবস্থা করছি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি মানুষ অবশ্যই জল পাবে।
বিষ্ণুপুর সাব ডিভিশনের পি এইচ ই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সানি সিনহা বলেন, তিনিও জলপরিসেবার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন আমারও জানা রয়েছে অনেক জায়গায় জল পড়ছে না। সেগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ডিপিআর করে পাঠানো হয়েছে। এমনকি অনুমোদনও পেয়েছি। কম জল আসছে তাই সমস্ত জায়গায় জল পৌঁছচ্ছে না। পাইপগুলি নতুন করে লাগানো হবে। আমরা গরমের আগেই সেই কাজটা সম্পন্ন করবো এবং সকলেই জল পাবে।
রাধানগর গ্রামে জলের সমস্যা নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, রাধানগরের জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই এই ট্যাপ কল এবং জল প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর প্রত্যেকটা কেন্দ্র সরকারের টাকা। এই যে ট্যাপ হয়েছে এই ট্যাপ পিছু দেখুন তৃণমূলের নেতারা কার কাছে কত টাকা কাঠ মানি খেয়েছে। আসল সমস্যার সমাধান এরা কখনোই করেনা। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন মানুষ এই সমস্যার সমাধান থেকে সুরাহা পাবে আগামী পঞ্চায়েতের নির্বাচনে যখন তৃণমূলকে ওখান থেকে সরিয়ে পাইপ লাইনের জলের সাথে বাইরে বার করে দেবে ড্রেন দিয়ে। তারপর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং মানুষের জলের সমস্যার সমাধান করবে।।