পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- খণ্ডঘোষ থানা উজ্জল পুকুরের বাসিন্দা নাসিমা খাতুন তার অ্যাপেন্ডিক্স ধরা পড়েছিল।চিকিৎসার জন্য তিনি এসেছিলেন বর্ধমান শহরের ডক্টর কৌশিক দাসের কাছে। চিকিৎসা করার পর মৃত নাসিমা খাতুন এর পরিবারকে বলা হয় তার এপেনডিক্স অপারেশন করা হবে। শুক্রবার দিন অপারেশন করা হয় নাসিমা খাতুন কে। তিন ঘণ্টা অপারেশনের পর তাকে আই সি ইউ তো দেয়া হয়। কিন্তু তারপরে তার শুরু হয় শারীরিক অবনতি। পরিবারের সদস্যরা ডাক্তার বাবু বলেন যে কোন ওষুধের থেকে এলার্জি হওয়ার জন্য এটা হয়েছে। মৃত নাসিমা খাতুনের মা সচিমা বেগম শেখ বলেন, কৌশিক দাসকে আমরা দেখায় তিনি বলেন আমার মেয়ের অ্যাপেন্ডিক্স হয়েছে ভর্তি করতে হবে বুধবার দিন দেখায় বৃহস্পতিবার দিন ভর্তি করি এবং শুক্রবার দিন আমার মেয়ের অপারেশন হয়। তারপর হঠাৎই শারীরিক অবনতির কারণে আমার মেয়ে শনিবার দিন মারা যায়। আমরা এখন চাইছি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারবাবু শাস্তি হোক। সেই জন্য আজ আমরা বর্ধমান সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। শুধুমাত্র একটা এপেন্ডিক্স অপারেশনে কি করে একটা জলজ্যান্ত মেয়ে মারা গেল এটাই আমরা জানতে চাই। মৃত নাসিমা খাতুনের পিসোমশাই আব্দুল শুকুর মোহাম্মদ জহর বলেন,আমরা ডক্টর কৌশিক দাস এবং নাসিংহোমের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। কৌশিক দাস এর সাথে আমরা যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি বলেন তিনি কলকাতায় আছেন এবং পরবর্তীকালে কোনভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের রোগীকে অন্য নার্সিংহোমে শিফট করান। নার্সিংহোম এবং ডাক্তারবাবু গাফিলতিতে আমাদের রোগী মারা গেছে।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু অভিযোগ মৃতার পরিবারের, অভিযোগ দায়ের বর্ধমান থানায়।