বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধারে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ বনদপ্তর এর বিরুদ্ধে, দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর উদ্ধার বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটি।

0
140

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিষধর সাপ উদ্ধারে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ বনদপ্তরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ গৃহস্থের, দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারীর প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয় বিষধর সাপটি। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার শান্তিগর এক নম্বর কলোনির বনিক পাড়ার। জানা যায় সকাল নটা নাগাদ ওই গৃহস্থ বাড়ির রান্না ঘরের উনুন এর ভেতরে বিষধর সাপটি লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা, এরপর আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা পরিবারে। অভিযোগ একাধিকবার বনদপ্তরে ফোন করেও মেলেনি কোনরকম সদুত্তর। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ধরে উনুনের মধ্যেই ছিল বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটি, আর যার কারণে আতঙ্কে ঘর ছাড়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তারা বাধ্য হয়ে পরবর্তীতে ফোন করেন শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সহাকে, তবে বনদপ্তর এর যতক্ষণ না পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সাপটি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আসতে পারছিলেন না উদ্ধারকারী অনুপম সাহা। তবে পরবর্তীতে বনদপ্তরের নির্দেশেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটিকে উদ্ধার করে বস্তাবন্দী করে অনুপম সাহা, এরপরে অনেকটাই আতঙ্ক মুক্ত হয় পরিবার। বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটি উদ্ধারের পরে বনদপ্তর এর চূড়ান্ত গাফিলতি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। গৃহস্থের অভিযোগ, সকাল থেকে একটানা বনদপ্তরকে ফোন করার পরেও বনদপ্তরের যে এমন ভূমিকা যা তারা কখনোই আশা করেননি, বিষধর সাপ মানেই যে কোন মানুষের আতঙ্ক। অন্যদিকে উদ্ধারকারী অনুপম সাহা জানিয়েছেন, তিনি উদ্ধার হওয়া সাপটিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেবেন। তবে গৃহস্থের বনদপ্তরের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি, পাশাপাশি তিনি ও জানিয়েছেন, তিনি ভালোবেসে বন্যপ্রাণী উদ্ধারের কাজ করে তিনি বনদপ্তর এর কোনো কর্মী নন।