নিজস্ব সবদদাতা, বালুরঘাট :– পথের ধারে টাইলস লাগানো ঝা চকচকে বাথরুম থাকলেও তা তালা মেরে বন্ধ করে রাখায় তা ব্যবহার করার উপায় না থাকায়।বাধ্য হয়ে রাস্তাঘাটে যত্র তত্র সাধারন মানুষ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাধ্য হয়। যদিও পুরুষেরা তা পারলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্ভব না হওয়ায় তারা পড়েন চড়ম বিপাকে। অথচ রাস্তার পাশেই তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে নিলসাদা রঙ এর নতুন বাথরুম।এরফলে একদিকে যেমন শহরের পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।অন্যদিকে পথচলতি মানুষের চোখে দৃশ্যদুষনের দৃশ্য নজরে পড়ছে। যদিও এই এগিয়ে বাংলা শ্লোগানের সাথে তা সমার্থক না হলেও দেখেও না দেখার ভান করে হাত গুটিয়ে বসে আছে বালুরঘাট পুরসভা। অথচ পুরনাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় শহরের আনাচে কানাচে গড়ে তোলা হয়েছে এই সব শৌচাগার বা বাথরুম।বিপাকে বালুরঘাট শহরের বাসিন্দারা।
বাম আমলের পতনের পর পথ চলতি সাধারন নাগরিকদের হঠাৎ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সুবিধার্থে ২০১৩ সালে তৃনমুল ক্ষমতায় এসে বালুরঘাট পুরসভা শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ন স্থানে বেশ কয়েকটি শৌচাগার বা বাথরুম নির্মান করে। তাতে নিল সাদা রঙ এর প্রলেপ ও পড়ে। ২০২১ এর ভোট আসার অনেক আগেই নম নম করে উদ্বোধন ও সারে বিগত তৃনমুল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভা।কিন্তু বাথরুম গুলোর দেওয়ালে এলাকার সেই সব পুরকাউন্সিলররের বদ্যনতায় এই বাথরুম নির্মানের কথা লেখা থাকলেও তা আর আজ পর্যন্ত পথ চলতি নাগরিকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। বাথরুম গুলির গেটে তালা ঝুলছে। তালায় মরচে ধরে গেলেও অজানা এক কারনে আজও তা ব্যবহারের জন্য খুলে দেয় নি বালুরঘাট পুরসভা। অথচ বাথরুমের গায়ে ও বাইরের প্ল্যাটফর্মে লাগানো নীল সাদা টাইলস চুরি হয়ে যাচ্ছে।নির্বিকার পুরসভা।এই নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বালুরঘাট শহরের নাগরিকদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ যদি পথে বেড়িয়ে মানুষকে সেই একই অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়।তাহলে কেন জনগনের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে নীলসাদা রঙ করে শৌচাগার বা বাথরুম গুলো তৈরি করে ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে যেমন পরিবেশ দুষন বাড়ছে তেমনি দৃশ্যদুষনও বাড়ছে। যা আধুনিক যুগে কাম্য নয়।
এব্যাপারে সরব বিজেপি ও। সুমন মন্ডলের অভিযোগ সবটাই জনগনের ট্যাক্সের টাকা তৃনমুলের কাটমানি খাওয়ার কৌশল।কাজের কাজ না করে জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় দামি গাড়ি চড়া আর ব্ল্যাক কফি কালচারে অভ্যস্ত তৃনমুলের কাছে এরকম আশা করা অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়।
তার দাবি তারা এই নিয়ে বার বার বালুরঘাট পুরসভায় দাবি জানিয়ে আসলেও। আজও তা পথ চলতি নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয় নি। অথচ চোরেরা সেখান থেকে টাইলস খুলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান,যেসব টয়লেট এর কাজ শেষ সেগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে, এখনো কিছু কিছু টয়লেট এর কাজ সম্পন্ন হয়নি, সে গুলি খোলা হয়নি।তবে খুব শির্ঘ্রই খুলে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।